উ. কোরিয়ার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে যৌথ মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও দ. কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করেই বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া। সোমবার (২১ আগস্ট) থেকে ‘উলচি ফ্রিডম ড্রিলস’ নামে ১০ দিনের ওই সামরিক মহড়া শুরু হয়। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, এ মহড়ার জন্য দক্ষিণ কোরিয়ার প্রায় ৫০ হাজার সেনা এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার সেনা একত্রিত হয়েছে।    

মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার ৫০০০০ এবং যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৫০০ সেনা অংশ নিয়েছে
উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ের জন্য মার্কিন ও দক্ষিণ কোরীয় বাহিনীকে প্রস্তুত করার কথা মাথায় রেখে মহড়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ মহড়াকে ‘আত্মরক্ষামূলক’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে ইনও এ মহড়ার ধরন ‘আত্মরক্ষামূলক’ বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, গত মাসে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ উত্তর কোরিয়া যেসব উত্তেজনাপূর্ণ কর্মকাণ্ড চালিয়ে থাকে তা ঠেকানোর জন্য নিয়মিত এ মহড়াগুলো হয়।

উত্তর কোরিয়ার দাবি, এ মহড়া ‘যুদ্ধের প্রস্তুতি’। এ মহড়াকে বেপরোয়া আচরণ উল্লেখ করে দেশটি হুঁশিয়ার করেছে, এ ধরনের আচরণ একটি সীমাহীন পারমাণবিক যুদ্ধের নতুন অধ্যায় শুরু করবে। তবে উত্তর কোরিয়ার এ হুমকিকে উপেক্ষা করেই সোমবার থেকে যৌথ মহড়া শুরু হয়েছে।

উত্তর কোরিয়ার প্রধান আন্তর্জাতিক মিত্র ও বাণিজ্যিক অংশীদার চীন এই মহড়া বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। একই আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়াও। মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগন জানিয়েছে, দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় এবার সাড়ে সতের হাজার সেনা অংশ নিচ্ছেন। গত বছর এই মহড়ায় ২৫ হাজার মার্কিন সেনা অংশ নিয়েছিলেন।তবে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্রের সেনা সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে চলমান উত্তেজনা নয় বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জিম ম্যাটিস। তিনি বলেন, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী সেনাদের সংখ্যা নির্ভর করে অনুশীলনের লক্ষ্য অর্জনের ওপর। যা প্রয়োজনীয় তা গ্রহণ করা হয়। এই মুহূর্তে কমান্ড পোস্ট অভিযানের ব্যাপক গুরুত্ব রয়েছে। সেকারণে যৌথ মহড়ায় সেনা কমিয়ে আনতে হয়েছে। 

উ. কোরিয়ার ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষার বিপরীতে মার্কিন প্রস্তাবে সমর্থন দিয়ে জাতিসংঘের নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে পিয়ংইয়ং-ওয়াশিংটন উত্তেজনা নতুন মাত্রা পায়। শুরু হয় দু্‌ই দেশের শীর্ষ নেতার পারস্পরিক হুমকিধামকি। এক পর্যায়ে উ. কোরিয়া যুক্তরাষ্ট্রের গুয়ামের মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরিকল্পনা ঘোষণা করে। জবাবে দেশটিকে ‘ধূলায় মিশিয়ে দেওয়া’র হুমকি দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। 

/এফইউ/