আফগানিস্তানে তালেবান হামলায় নিহত ৭

nonameআফগানিস্তানের দক্ষিণাঞ্চলীয় হেলমান্দ প্রদেশে বুধবার তালেবানদের আত্মঘাতী হামলায় অন্তত সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে নারী-শিশুরাও রয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪২ জন।

প্রদেশের লস্কর গাহ-এলাকার পুলিশ সদর দফতরের কাছে পার্কিং করা একটি গাড়িকে লক্ষ্য করে এই আত্মঘাতী হামলা চালানো হয়। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পুলিশের পক্ষ থেকে এ হামলা ও প্রাণহানির খবর নিশ্চিত করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে আফগান তালেবান।

হেলমান্দ প্রদেশের গভর্নরের মুখপাত্র ওমর জহাক। তিনি বলেন, পুলিশ সদর দফতরের কাছে একটি গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালালে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। এতে চার সৈনিক, এক বালিকা এবং দুই নারী নিহত হন। এ সময় সংলগ্ন একটি মসজিদে পড়াশুনা করতে আসা শিশুরাও আহত হয়।

বুধবারের এ হামলার একদিন আগেই আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনাদের প্রত্যাহারের জন্য হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে তালেবান। তাদের ভাষায়, সেনা প্রত্যাহার না করে ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন সেনাদের জীবন ‘নষ্ট’ করছেন। এর ফলে আফগানিস্তান মার্কিন সেনাদের জন্য ‘সমাধিক্ষেত্রে’ পরিণত হবে। তালেবানের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যদি আফগানিস্তান থেকে সেনা প্রত্যাহার না করে তবে একবিংশ শতাব্দীর ক্ষমতাধর এ বাহিনীর জন্য শিগগিরই আফগানিস্তান আরেকটি সমাধিক্ষেত্রে পরিণত হবে।’

তালেবানের জ্যেষ্ঠ এক কমান্ডার বলেন, জর্জ ডব্লিউ বুশের মতো পূর্ববর্তী প্রেসিডেন্টরা যে ধরনের ‘অহংকারী আচরণ’ করেছেন ট্রাম্পও সেই পথে হাঁটছেন। ওই তালেবান নেতা বলেন, ‘উনি (ট্রাম্প) কেবল আমেরিকান সেনাদের জীবন নষ্ট করছেন। কিভাবে আমাদের দেশকে রক্ষা করতে হয় তা আমাদের জানা আছে। এ ধরনের আচরণ দিয়ে কিছু পাল্টানো যাবে না। প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে আমরা এ যুদ্ধ চালাচ্ছি, আমরা ভীত নই। আমরা উজ্জীবিত আছি এবং শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত আমরা যুদ্ধ করে যাব।’

নাইন ইলেভেনের হামলার পর ২০০১ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের নির্দেশে আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযান শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানে তালেবানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধ অভিযান শেষ হয় ২০১৪ সালে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনী এখনও আফগান সেনাদের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। আফগানিস্তানে এখনও প্রায় আট হাজার ৪০০ সেনা মোতায়েন রয়েছে। সূত্র: আল জাজিরা।