শিগগিরই সৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা

জাভেদ জারিফসৌদি-ইরান কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার আভাস দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ। বুধবার ইরানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আইএসএনএ-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ  বিষয়ে কথা বলেন। জাভেদ জারিফ বলেন, শিগগিরই দুই দেশের মধ্যে কূটনীতিক বিনিময় করা হবে। এবারের হজ শেষে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই এটা হতে পারে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, সফরের জন্য পারস্পরিক ভিসা আদানপ্রদান করা হয়েছে। আমরা চূড়ান্ত পদক্ষেপের জন্য অপেক্ষা করছি, যাতে কূটনীতিকরা দূতাবাস ও কনস্যুলেটগুলো পরিদর্শন করতে পারেন।’

২০১৬ সালের জানুয়ারিতে সৌদি আরবের শিয়া নেতা শেখ নিমর আল-নিমরের মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের জেরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপক অবনতি হয়। এক পর্যায়ে ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।

২০১৭ সালের আগস্টে ওয়াশিংটনে নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল উতেইবা’র ইমেইল ফাঁস করে গ্লোবাল লিকস নামের একটি হ্যাকার গোষ্ঠী। এতে দেখা যায়, ইয়েমেনে সৌদি জোটের সামরিক আগ্রাসন শুরুর দুই বছর পর এখন এ যুদ্ধ থেকে বের হয়ে আসতে চাইছে দেশটি। প্রয়োজনে এ ব্যাপারে চিরশত্রু ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায়ও আপত্তি নেই রিয়াদের। সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের এক মাস আগে দুই মার্কিন কর্মকর্তার কাছে এমন অবস্থানের কথা জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। আমিরাতি কূটনীতিকের ইমেইলেও এ সংক্রান্ত তথ্যাবলী আদানপ্রদান হয়েছে।

আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল উতেইবা’র এক ইমেইলে সাবেক মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুবরাজ সালমানের বৈঠকের বিশদ বিবরণ উঠে এসেছে। ওই মেইলটিতেই ইরানের ব্যাপারে সৌদি আরবের নমনীয় অবস্থানের বিষয়টি উঠে এসেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের যে দুই কর্মকর্তার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন সৌদি যুবরাজ তাদের একজন ইসরায়েলে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্টিন ইনডিক। অন্যজন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্টিফেন হ্যাডলি। অন্যজন হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা স্টিফেন হ্যাডলি। আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ আল উতেইবা’র সঙ্গে আলাদা আলোচনায় ইয়েমেনে সৌদি আরবের ‘অযথা হস্তক্ষেপ’ নিয়ে কথা বলেন মার্টিন ইনডিক। সূত্র: আল জাজিরা।

/এমপি/