রাম রহিমের সাজা ঘোষণাকে সামনে রেখে বহু স্তরের নিরাপত্তা

২০০২ সালের এক ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত ভারতের বিতর্কিত ধর্মগুরু রাম রহিম সিং-কে রোহটাকের জেলে স্থানান্তর করার পর আশেপাশে বহু স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। সোমবার (২৮ আগস্ট) স্বঘোষিত এ ধর্মগুরুর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করা হবে।

দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর রাম রহিমকে রোহটাকে নেওয়া হয়
২০০২ সালে নিজ আশ্রমে দুই নারী অনুসারীকে ধর্ষণ করার দায়ে শুক্রবার (২৫ আগস্ট) রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। রায় ঘোষণার পর একটি সরকারি হেলিকপ্টারে করে ধর্মগুরুকে রোহটাকে নিয়ে যাওয়া হয়। রোহটাক থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে সুনারিয়ার ডিস্ট্রিক্ট জেলের একটি বিশেষ সেলে এখন তাকে রাখা হয়েছে। শুক্রবার, রাম রহিমকে দোষী সাব্যস্ত করার পর তার বিক্ষুব্ধ অনুসারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। ওই সহিংসতায় অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়।

রোহটাকের জেলের কাছে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে
সোমবার রাম রহিমের বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণাকে সামনে রেখেও সহিংসতার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানায়, যে সড়কগুলো সানোরিয়ার জেলের দিকে গেছে সেগুলোকে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আর জেলটির চারপাশে অবস্থান নিয়েছে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এবং হরিয়ানা পুলিশের সদস্যরা। ২৮ টি আধা সামরিক কোম্পানি শহরটিতে অবস্থান নেবে। জ্যেষ্ঠ এক পুলিশ সদস্যের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানায়, ওই এলাকায় সেনাবাহিনীকেও প্রস্তুত রাখা হয়েছে।  

শনিবার (২৭ আগস্ট) হরিয়ানা পুলিশের মহাপরিচালক বালজিত সানধু জানান, সিরসায় ধর্মগুরুর ডেরার সদর দফতরের বাইরেও নিরাপত্তা বাহিনী সতর্ক প্রহরায় রয়েছে। ডেরার সদর দফতর ঘিরে ফেললেও সেনা সদস্যরা জানিয়েছেন, এখনই তাদের ভেতরে ঢোকার নির্দেশ নেই। সেনা ও জেলা প্রশাসন লাউড স্পিকারে ডেরা সমর্থকদের নির্দেশ দিচ্ছে, সদর দফতর ছেড়ে চলে যেতে।

/এফইউ/