পুলিশকে সেনাবাহিনীর উদ্বৃত্ত অস্ত্র দেওয়ার কর্মসূচি পুনর্বহাল করলেন ট্রাম্প

মার্কিন সেনাবাহিনীর অতিরিক্ত অস্ত্র ও অন্য সরঞ্জামাদি পুলিশকে দিয়ে দেওয়ার কর্মসূচিটি আবারও চালু করতে নির্বাহী আদেশ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফার্গুসন ও মিজৌরিতে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক নিহত হওয়ার পর ওই কর্মসূচির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। আর সোমবার (২৮ আগস্ট) ওবামার সেই নিষেধাজ্ঞা বাতিল করে কর্মসূচিটি পুনর্বহাল করেছেন ট্রাম্প। মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল জেফ সেশনস দাবি করেছেন জননিরাপত্তা বাড়ানোই কর্মসূচিটি পুনর্বহালের উদ্দেশ্য।

সোমবার ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশ দেন
১৯৯০ এর দশকে মাদকবিরোধী লড়াইয়ে নিযুক্ত কেন্দ্রীয়, আঞ্চলিক ও স্থানীয় পুলিশ সংস্থাগুলোর কাছে সেনাবাহিনীর উদ্বৃত্ত সরঞ্জামাদি হস্তান্তরের জন্য কর্মসূচিটি চালু হয়। স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা এ কর্মসূচিকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। তাদের মতে, বাজেটে কোনও প্রভাব না ফেলে বিপজ্জনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরঞ্জামাদি সংগ্রহের জন্য এটি একটি ভালো উপায়।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৯০ এর দশকের ওই কর্মসূচিটি বাতিল করে দেয় ওবামা প্রশাসন। ২০১৪ সালে এক শ্বেতাঙ্গ পুলিশ কর্মকর্তার গুলিতে এক নিরস্ত্র কিশোর নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ফার্গুসনে তুমুল বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভ দমাতে পুলিশ ভারী অস্ত্র ও সরঞ্জামাদি ব্যবহার করায় তা নিয়ে তুমুল সমালোচনা হয়েছিল। সেই সমালোচনার মুখে ওবামা সেনাবাহিনীর উদ্বৃত্ত অস্ত্র পুলিশকে দেওয়ার কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেন। পুলিশকে যেন কেউ দখলদার বাহিনী মনে না করে সে কারণে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানিয়েছিলেন ওবামা।

সোমবার ট্রাম্প স্বাক্ষরিত ওই নির্বাহী আদেশের পক্ষে বলতে গিয়ে জেফ সেশনস দাবি করেন, নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ কনভেনশনে বক্তব্য দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘ভাসা ভাসা উদ্বেগকে আমরা জননিরাপত্তার ঊর্ধ্বে স্থান দিতে পারি না। এ নির্বাহী আদেশটি আপনাদেরকে কাজ করার ক্ষেত্রে জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আপনাদের নিজেদের কাজে মনযোগী হওয়া উচিত এবং এ দৃঢ় বার্তাটি মাথায় রাখা উচিত যে আমরা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, সহিংসতা ও বেআইনি কর্মকাণ্ডকে ছাড় দিই না।’

নতুন এ নির্বাহী আদেশের কারণে ওবামা আরোপিত বিধিনিষেধগুলো পাল্টে দিতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারি সংস্থাগুলোকে বাধ্য করা হবে।