গণভোটের আইন পাস করায় কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ স্পেন

স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার স্বাধীনতা প্রশ্নে আগামী মাসের গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত আইন অনুমোদন করায় অঞ্চলটির পার্লামেন্টের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানিয়েছে মাদ্রিদ সরকার। তাদের অভিযোগ, এ পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট ‘সংবিধান ও গণতন্ত্রের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ করেছে। ১ অক্টোবরের গণভোট ঠেকাতে সব ধরনের আইনি ও রাজনৈতিক ক্ষমতা ব্যবহার করা হবে বলেও হুঁশিয়ার করেছে স্পেন সরকার।  

স্বাধীনতার দাবিতে আন্দোলনকারী কাতালোনিয়াবাসী
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে স্পেন থেকে কাতালোনিয়ার বিচ্ছিন্ন হওয়া না হওয়ার প্রশ্নে ১ অক্টোবর গণভোট অনুষ্ঠানের জন্য প্রস্তাবিত বিলটি অনুমোদন করে কাতালোনিয়ার পার্লামেন্ট। গণভোট সংক্রান্ত আইন পাসের জন্য বুধবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হয়। বার্সেলোনার ১৩৫ আসনবিশিষ্ট আইনসভায় প্রস্তাবের পক্ষে ৭২টি ভোট পড়ে। ভোটদান থেকে বিরত থাকেন ১১ জন। আর ভোটাভুটির আগে আগে রাগ করে পার্লামেন্ট থেকে ওয়াকআউট করেন বিরোধী দলের ৫২ জন এমপি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ভোটাভুটির পর পরই কাতালোনিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্লেস পুগডেমন্ট বিলটিতে স্বাক্ষর করে তা স্থানীয় আইনে পরিণত করেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান জানায়, কাতালোনিয়া পার্লামেন্টের সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে স্প্যানিশ প্রধানমন্ত্রী মারিয়ানো রাজোয় এ ব্যাপারে দেশের সাংবিধানিক আদালতে অভিযোগ দায়েরের জন্য সরকারি আইনজীবীদের নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি প্রসিকিউটরের কার্যালয় থেকেও জানানো হয়েছে, কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার কারমে ফরকাডেলসহ অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে। স্বাধীনতার জন্য আইনগত পদক্ষেপ নিষিদ্ধ করে আদালতের পূর্ববর্তী রায়কে অমান্য করার অভিযোগ এনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে।

কাতালোনিয়ার পার্লামেন্টের এ পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক ও হতবুদ্ধিকর’ কর্মকাণ্ড হিসেবে উল্লেখ করেছেন স্পেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী সোরায়া সায়েনজ দে সান্তামারিয়া। তার দাবি, এ ধরনের কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র ও স্পেনের সংবিধানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার সামিল।