স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের প্রটেকটিভ সিকিউরিটি অপারেশন্স ইউনিট-এর প্রধান পরিদর্শক নিক স্ট্যালে। তিনি বলেন, স্পাইকড রোড ম্যাটের মতো সরঞ্জাম নিঃসন্দেহে মানুষের জীবন রক্ষায় উপকারী ভূমিকা পালন করবে। লন্ডনে বড় আয়োজনগুলোর সুরক্ষায় নেওয়া নানা পদক্ষেপের মধ্যে এটি একটি। এই পদক্ষেপ ব্যবসায়ী, কর্মী ও আগন্তুকদের দৈনন্দিন স্বাভাবিক জীবনযাপনের ব্যাপারে ভয় বা শঙ্কা দূর করবে।
চলতি বছরের ৩ জুন রাতে লন্ডন ব্রিজে পথচারীদের ওপর গাড়ি তুলে দিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। ওই হামলার কিছুদিনের মাথায় আবারও উত্তর লন্ডনে একটি মসজিদের কাছে পথচারীদের ওপর দ্রুত গতির গাড়ি তুলে দেওয়ার ঘটনা ঘটে। উভয় হামলাতেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। ফলে গাড়ি হামলা মোকাবিলায় উদ্যোগী হয় লন্ডন মেট্রোপলিটন পুলিশ।
লন্ডন ছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ইউরোপে গাড়ি হামলার ঘটনা বেড়ে গেছে। এসব হামলার অধিকাংশই চালানো হচ্ছে জনবহুল এলাকায়। গত আগস্টে স্পেনের কাতালোনিয়ার রাজধানী বার্সেলোনার ব্যস্ততম পর্যটন এলাকায় পথচারীদের ওপর কাভার্ড ভ্যান উঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে অন্তত ১৩ জন নিহত এবং কমপক্ষে ১০০ জন আহত হন। ২০১৬ সালের ১৪ জুলাই ফ্রান্সের নিস শহরে ট্রাক হামলা নিহত হন অন্তত ৮৬ জন। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে জার্মানি, সুইডেন এবং ফ্রান্সেও। ফলে এ ধরনের হামলা মোকাবিলার কৌশল নির্ধারণে নড়েচড়ে বসে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।