জাতিসংঘের দুটি ত্রাণবাহী বিমান বাংলাদেশে, ইন্দোনেশিয়া থেকে আসছে চারটি

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ত্রাণ নিয়ে জাতিসংঘের দুটি চার্টার্ড বিমান ফ্লাইট বাংলাদেশে অবতরণ করেছে বলে জানিয়েছেন বাংলা ট্রিবিউনের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি। অন্যদিকে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ৩৪ টন ত্রাণ সহায়তা নিয়ে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় বিমান বাহিনীর ঘাঁটি থেকে চারটি হারকিউলিস বিমান বাংলাদেশের উদ্দেশে যাত্রা করেছে।
রোহিঙ্গা সংকট

বাংলা ট্রিবিউনের যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি জানান, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য দুইটি চার্টার্ড বিমানে করে বাংলাদেশে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার তথ্য দিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেজের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক। জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর-এর সহায়তায় পাঠানো প্রথম বিমানে রয়েছে স্লিপিং ম্যাট, বাড়ি তৈরির জিনিসপত্রসহ আরও কিছু জিনিসপত্র। বিমানটি বাংলাদেশে পৌঁছানোর পর এরইমধ্যে বিমান থেকে এগুলো ট্রাকে নেওয়া হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় বিমানটি আরব আমিরাতের আর্থিক সহায়তার ত্রাণে পূর্ণ ছিলো। সেখানে ২ হাজার তাবু রয়েছে। দুজারিক জানান, ‘এই ত্রাণে ২৫ হাজার রোহিঙ্গাকে সহায়তার করা সম্ভব হবে। এছাড়া আরও ত্রাণ আসছে যা দিয়ে ১ লাখ ২০ হাজার রোহিঙ্গাকে সাহায্য করা সম্ভব।’

এদিকে মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি বলছে, বুধবার বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসা চারটি বিমানকে বিদায় জানান ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো। প্রথমবারে পাঠানো এসব ত্রাণের মধ্যে রয়েছে তাঁবু, চাল, চিনি, কম্বল, পানির ট্যাংক, তাৎক্ষণিক খাওয়ার মতো খাদ্য, স্যানিটেশনে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। পূর্ব জাকার্তায় হালিম পরদানাকুসুমাহ বিমান ঘাঁটি থেকে এ বিমানগুলো ছেড়ে আচেহ প্রদেশে থামার কথা। সেখান থেকে নতুন করে জ্বালানি নিয়ে উড়বে চট্টগ্রামের উদ্দেশে। এসব বিমানে রয়েছেন ১৮ জন স্বেচ্ছাসেবক। তারা ইন্দোনেশিয়া থেকে আসছেন। কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরগুলোতে এসব ত্রাণ বিতরণে সহায়তা করবেন তারা।

প্রেসিডেন্ট উইডোডো বলেছেন, হারকিউলিস বিমানগুলো সেনাবাহিনীর। তাদের দ্বারা এটি পরিচালিত হয়। দ্রুততার সঙ্গে যাতে ত্রাণ পৌঁছে যায় তা নিশ্চিত করতে এই বিমান ব্যবহার করা হয়েছে। তার ভাষায়, ‘কন্টেইনারে করে যদি আমরা এসব ত্রাণ পাঠাতাম তাহলে তা বাংলাদেশে পৌঁছতে অনেক দীর্ঘ সময় লেগে যেতো।’

মঙ্গলবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে স্টিফেন দুজারিক জানান, ২৫ আগস্টের পর ৩ লাখ ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন। তাদেরকে সর্বোচ্চ সহায়তা করছে স্থানীয় লোকজন। নতুনদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের কাছে সহায়তা চেয়েছে।