লন্ডনের পাতাল রেলে বিস্ফোরণে আহত নয়জনের অবস্থা গুরুতর

nonameলন্ডনে পাতাল রেলে বিস্ফোরণের ঘটনায় অন্তত ১৮ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে নয়জনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি। পুরো এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। ‘সন্ত্রাসী হামলা’ হিসেবে বিস্ফোরণের তদন্ত শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকালে ব্যস্ত সময়ে পশ্চিম লন্ডনের পারসন্স গ্রিন স্টেশনে এই বিস্ফোরণ ঘটে। এতে সেখানে আগুন ধরে যায়। কয়েকজন যাত্রীর মুখমণ্ডল দগ্ধ হয়। পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন কয়েকজন। ইমপ্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) ব্যবহার করে এ হামলা চালানো হয়।

একটি ব্যাগের ভেতরে থাকা সাদা একটি বালতিতে এই বিস্ফোরণের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে যেতে থাকেন।

সকাল ৮টা ২০ মিনিটে জরুরি সেবা বিস্ফোরণের খবর পায়। বিস্ফোরণের পর সেখানে বড় আকারের আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানে প্রায় ৬০ জন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কাজ করেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও সতর্কতা হিসেবে অগ্নিকাণ্ডের আশপাশের ১২টি বাড়ির বাসিন্দাদের সরে যেতে বলা হয়েছে। মিল্টন কেইনিজ সেন্ট্রাল ও ইউস্টনের মধ্যে লন্ডন মিডল্যান্ড, ভার্জিন ট্রেন ও সাউদার্ন-এর সব ট্রেন সেবা বন্ধ রয়েছে।

লন্ডনের রেল কর্তৃপক্ষ নেটওয়ার্ক রেল-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগুনে রেললাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ধসে পড়ার আশঙ্কা ছিল। পুরো রেললাইন মেরামতে একদিন লাগতে পারে।

বিস্ফোরণের নিন্দা জানিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে এবং লন্ডনের মেয়র সাদিক খান। ঘটনার পর সরকারের জরুরি নিরাপত্তা বিষয়ক কোবরা কমিটির সঙ্গে বৈঠক করেন থেরেসা মে। ডাউনিং স্ট্রিট জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে সজাগ দৃষ্টি রাখছেন।

সাদিক খান এক বিবৃতিতে বলেছেন, পুলিশ নিশ্চিত করেছে এই বিস্ফোরণকে তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড হিসেবে দেখছে। আমাদের ক্ষতিসাধনের জন্য যারা এমন বিধ্বংসী প্রচেষ্টা চালিয়েছে এই শহর সেসব ঘৃণিত ব্যক্তিদের প্রতি নিন্দা জানায়। লন্ডন বার বার এটা প্রমাণ করেছে যে, সন্ত্রাসবাদের কাছে আমরা কখনোই ভীত বা পরাজিত হবো না। সূত্র: বিবিসি, রয়টার্স।