লন্ডনের পাতাল রেলে হামলা; ট্রাম্পের বক্তব্যের সমালোচনায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

থেরেসা মে এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পলন্ডনের পাতাল রেলে হামলা নিয়ে ট্রাম্পের ‘অনুমাননির্ভর’ টুইট প্রত্যাখ্যান করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ওই টুইটে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, আক্রমণকারীকে পুলিশ চিনতো। তারপরও স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড এ সম্পর্কে কিছু বলেনি।

১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পের দাবি উড়িয়ে দিয়ে থেরেসা মে বলেন, আমি কখনও এটা মনে করি না যে, কারও অনুমান চলমান তদন্তের জন্য সহায়ক। সরকারের জরুরি নিরাপত্তা বিষয়ক কোবরা কমিটির সঙ্গে বৈঠকের এ সংবাদ সম্মেলনে মিলিত হন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

তিনি বলেন, স্পষ্টই আমাদের উল্লেখযোগ্য ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এই কাপুরুষোচিত হামলা চালানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিশদ অনুসন্ধান এবং দায়ীদের চিহ্নিত করতে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলো।

উল্লেখ্য, লন্ডনের পাতাল রেলে হামলার বিষয়টি নিয়ে টুইটারে সিরিজ পোস্ট দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর একটিতে তিনি ইন্টারনেটকে সন্ত্রাসীদের সদস্য সংগ্রহের মাধ্যম হিসেবে অভিহিত করে এই সেবা বন্ধ করে দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইন্টারনেট বন্ধ করে এর বদলে ভালো কিছু ব্যবহার করতে হবে।

শুক্রবারের ওই হামলায় ২৯ ব্যক্তি আহত হন। এদের মধ্যে ২২ জনকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। আহতদের বেশিরভাগের শরীর বোমার বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়েছে।

একটি সুপার স্টোরের ব্যাগে শক্তিশালী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায় সন্ত্রাসীরা। সকালের ওই সময়টায় কর্মব্যস্ত মানুষ কাজে ছুটছিলেন। স্কুল-কলেজের পথে ছিল শিক্ষার্থীরা।

স্কটল্যাণ্ড ইয়ার্ড বলছে, দক্ষিণ পশ্চিম লন্ডনে টিউব-রেলের কামরায় শুক্রবার সকালের ব্যস্ত সময়ে ‘ঘরে তৈরি একটি বোমার’ বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।

সহকারী পুলিশ কমিশনার মার্ক রোওলি বলেছেন, ডিস্ট্রিক্ট লাইনে পারসন্স গ্রিন স্টেশনের ওই বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছেন কয়েকশ গোয়েন্দা। তারা এমআইফাইভ-এর গোয়েন্দাদের সঙ্গে কাজ করছেন।

লন্ডনের পাতাল রেল নেটওয়ার্কের এই ট্রেনটি যখন মাটির ওপরের স্টেশন পারসন্স গ্রিনে ছিল তখন যাত্রীরা সামনের দিকের একটি কামরা থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পান। এর পরপরই সেখানে আগুন জ্বলতে দেখা যায়। কামরার দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ত্রাস শুরু হয়ে যায়। সিঁড়ি বেয়ে উপরে ওঠার জন্য হুড়োহুড়িতে পদদলিত হয়ে বেশ কয়েকজন আহত হন।