হারিয়ে যাওয়া রোহিঙ্গা শিশু নিয়ে জাতিসংঘের ভিডিও

nonameজীবন বাঁচাতে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আছেন এসব পরিবারের শিশুরাও। তবে বাংলাদেশের পথে এ দীর্ঘ যাত্রায় পাড়ি দিতে হয় বন-জঙ্গল আর বিপজ্জনকভাবে উঁচু ও খাড়া পাহাড়ি এলাকা। কয়েক দিনের এ দুর্গম পথ অতিক্রম করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় যে কাউকেই। সেখানে শিশুদের অবস্থা তো আরও করুণ। পথিমধ্যে শিশুদের হারিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। হারিয়ে যাওয়া শিশুদের আবারও নিজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করতে ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’ বুথ চালু করেছে কামাল নামের একজন রোহিঙ্গা শরণার্থী। এই বুথ নিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা, ইউএনএইচসিআর।

৪০ সেকেন্ডের ওই ভিডিও’তে প্রথমেই মা-বাবাকে হারিয়ে ফেলা এক রোহিঙ্গা শিশুকে দেখানো হয়। এরপর দেখা যায় ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’-এর কর্মতৎপরতা, তাদের মাইকিং। ‘লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড’-এর সাহায্যে এ পর্যন্ত হারিয়ে যাওয়া কয়েকশ শিশুকে নিজ পরিবারের সঙ্গে যুক্ত করেছেন কামাল।

অসহায় রোহিঙ্গাদের সাহায্যে তথ্যকেন্দ্র স্থাপন করেছে ইউএনএইচসিআর। তারাও পরিবারের সদস্যদের একসঙ্গে রাখার চেষ্টা করে।

সম্প্রতি নাফ নদীর তীরে একাধিক রোহিঙ্গা শিশুর মরদেহ ভেসে আসার ভিডিও উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট জানিয়েছে, ভিডিওতে যে শিশুদের দেখা যাচ্ছে, তারা মিয়ানমার পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘের হিসাবে, এদের মধ্যে ৮০ শতাংশই নারী ও শিশু। আর শিশুদের মধ্যে এক হাজার ১২৮ জন ছিন্নমূল। তাদের সঙ্গে পরিবারের অন্য কোনও সদস্য নেই।

১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ঢাকায় গোলটেবিল বৈঠকে এ বিষয়ে কথা বলেন জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ)-এর এডুকেশন ম্যানেজার মোহাম্মদ মোহসিন। তিনি জানান, ‘মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে দুই লাখই শিশু। এছাড়া পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বাংলাদেশে এসেছে এক হাজার ১২৮টি শিশু। এসব শিশুর মানসিক বিকাশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বেশি। এ থেকে তাদের মুক্তি দিতে হবে। শারীরিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এসব শিশুর সুস্থতার জন্য এখন খাদ্য-পুষ্টি প্রয়োজন।’