পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে, প্রতিদিন আসছে ১৮ হাজার

রাখাইনে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর মিয়ানমারের ডি-ফ্যাক্টো সরকারের নিপীড়ন থেকে রক্ষা পেতে প্রতিদিন গড়ে ১৮,০০ মানুষ প্রবেশ করছে বাংলাদেশ সীমান্তে। জাতিগত নিধনযজ্ঞ থেকে রক্ষা পেতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। জাতিসংঘের বরাত দিয়ে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা এই খবর জানিয়েছে।

মায়ের কোলে এক রোহিঙ্গা শিশু
সাম্প্রতিক ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের লক্ষ্যে সেনা অভিযান শুরুর কয়েকদিনের মাথায় 'বিদ্রোহী রোহিঙ্গা'রা ২৪টি পুলিশ চেকপোস্টে বিদ্রোহীদের সমন্বিত হামলায় অন্তত ১০৪ জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়ে রোহিঙ্গাবিরোধী অভিযান জোরদার করে সরকার। তখন থেকে নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে শুরু করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষেরা। এই সংকট মোকাবিলায় বিশ্ববাসীর সহায়তা চাওয়ার উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রে যাত্রা করার পর জাতিসংঘ ৪ লাখ ৯ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসার নতুন তথ্য জানায়।

ক্লিয়ারেন্স অপারেশন জোরদার হওয়ার পর থেকেই মিলতে থাকে বেসামরিক নিধনযজ্ঞের আলামত। পাহাড় বেয়ে ভেসে আসতে শুরু করে বিস্ফোরণ আর গুলির শব্দ। পুড়িয়ে দেওয়া গ্রামগুলো থেকে আগুনের ধোঁয়া এসে মিশতে শুরু করে মৌসুমী বাতাসে। মায়ের কোল থেকে শিশুকে কেড়ে নিয়ে শূন্যে ছুড়ে দেয় সেনারা। কখনও কখনও কেটে ফেলা হয় তাদের গলা। জীবন্ত পুড়িয়ে মারা হয় মানুষকে। তাই পালিয়ে আসতে থাকে মানুষেরা। আলজাজিরার খবরে বলা হয়, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার আগমনে এরই মধ্যে জনাকীর্ণ রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোর অবস্থা শোচনীয় হয়ে গেছে। জাতিসংঘ বলেছে, শুক্রবার একটি ক্যাম্পের কাছে কিছু ব্যক্তির কাপড় বিতরণের সময় ‘ছুটাছুটি’ করতে গিয়ে দুই শিশু ও এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।