রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করলো ভারত

nonameরোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। এরইমধ্যে পুরো প্রক্রিয়াটি কার্যকর হয়েছে বলে ইন্ডিয়া টুডে’কে নিশ্চিত করেছেন দেশটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। সমুদ্রপথ ব্যবহার করে রোহিঙ্গা মুসলিমরা ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে-এমন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে দিল্লি। ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে।

ভারতের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ইন্ডিয়া টুডে’কে বলেন, সমুদ্রসীমা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীর অত্যাধুনিক 'ডর্নিয়ার' মেরিটাইম পেট্রোল উড়োজাহাজ, হোভারক্রাফট এবং জাহাজ টহলের ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে পুরো এলাকাতেই এটা করা হয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তার জন্য রোহিঙ্গাদের একটি প্রধান হুমকি মনে করে ভারত।

মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও মগ সন্ত্রাসীদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে ভারতে পালিয়ে গিয়ে শরণার্থী বসবাস করছে ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠাতে মোদি সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে করা চ্যালেঞ্জের শুনানি সোমবার থেকে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে। এর পরদিন মঙ্গলবারই সমুদ্রসীমা বন্ধ করে দেওয়ার খবর আসে।

ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তা মুখেশ মিত্তাল আদালতকে জানিয়েছেন, জাতীয় স্বার্থে সরকারকে রোহিঙ্গা বিষয়ে নিজের মতো করে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। রোহিঙ্গারা ইসলামি চরমপন্থার সঙ্গে যুক্ত। জম্মু, দিল্লি, হায়দ্রাবাদে ইসলামি উগ্রবাদিদের সঙ্গে তাদের যোগসাজস রয়েছে। তারা ভারতের নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি।

ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছেন, এখন আদালতকেই বিষয়টির ফয়সালা করতে হবে। আদালত চাইলে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় গোয়েন্দা তথ্য পেশ করতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে। তবে ভারতের শীর্ষস্থানীয় মানবাধিকার আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ মনে করেন, ভারত হিন্দু-বৌদ্ধ-শিখ-পার্সি সব ধর্মের শরণার্থীদের আশ্রয় দিলেও শুধু মুসলিম পরিচয়ের কারণেই রোহিঙ্গাদের জঙ্গি বলে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে। তার ভাষায়, ‘সরকার বলতে চাইছে তুমি যদি মুসলিম না হও তাহলে শরণার্থী হিসেবে হিন্দুস্থানে আশ্রয় পাবে, কিন্তু মুসলিম হলে তোমার জন্য দরজা বন্ধ। কিন্তু এটা সংবিধানবিরোধী প্রস্তাব। কারণ সংবিধানের ১৪ ধারা অনুযায়ী এভাবে ধর্মের ভিত্তিতে কারও সঙ্গে বৈষম্যের সুযোগ নেই।’ সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে, বিবিসি।