জাতিসংঘ অধিবেশন: মিয়ানমারের প্রতিনিধির কণ্ঠে সু চির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি

সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে মিয়ানমারের পক্ষ থেকে যোগ দিয়েছে সে দেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট হেনরি ভ্যান থায়ো।  রাখাইন পরিস্থিতি নিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা অং সান সু চির বক্তব্যের প্রতিধ্বনি করেছেন তিনি। জাতিসংঘ ভাষণে রোহিঙ্গাদেরকে তিনি 'মুসলিম' হিসেবে তুলে ধরেন। সু চির মতো করেই দাবি করেন, বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গার বাংলাদেশে পালিয়ে আসার কারণ সম্পর্কে তিনি অজ্ঞাত।

_97952229_041860545-1

রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত মঙ্গলবারের ভাষণে সু চি বলেন, ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের বেশকিছু সংখ্যক মানুষ বাংলাদেশে পালিয়ে গেছে- এ ধরনের খবর শুনে আমরা উদ্বিগ্ন।’ তিনি বলেন, শরণার্থী হিসেবে যারা বাংলাদেশে গেছে যে কোনও সময় পরিচিতি পর্যবেক্ষণ করে তাদের ফিরিয়ে নিয়ে পুনর্বাসনে আমরা প্রস্তুত।  সু চি দাবি করেন, সব মুসলিমের বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়নি। কেন এত মুসলিম বাংলাদেশে যাচ্ছে সেটাও খতিয়ে দেখা হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ সবটাই শুনতে হবে ।   

মিয়ানমারের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ অধিবেশনে যোগ দিয়েছেন থায়ো। অধিবেশনে অংশ নেননি সু চি। জাতিসংঘ অধিবেশনে ভাইস প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, বেশিরভাগ মুসলিম এখনও মিয়ানমারে থেকে গেছেন। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের পালিয়ে যাওয়ার কারণ সম্পর্কে তিনি অজ্ঞাত। মিয়ানমার রাখাইনের সহিংসতার তদন্ত করছে বলেও জানান তিনি।

২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ সামরিক বাহিনীর এক অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

মঙ্গলবার দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনায় পড়েছেন সু চি। অভিযোগ উঠেছে, রোহিঙ্গাদের ওপর সামরিক বাহিনীর নির্যাতনের বিষয় এড়িয়ে গেছেন এই নেত্রী। এছাড়া রোহিঙ্গা শব্দটিও ব্যবহার করেননি তিনি। বুধবার ভ্যান থায়ো বলেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে জানাতে চাই রাখাইনের পরিস্থিতির উন্নতি ঘটেছে।’