রাখাইনে ‘শান্তি’ বজায় রাখতে মিয়ানমারকে চীনের আর্থিক সহযোগিতা

মিয়ানমার রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশনের মুখে রোহিঙ্গা মুসলিমদের জাতিগত নিধনযজ্ঞের সমালোচনা চলছে সারা বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে রাখাইনে ‘শান্তি’ বজায় রাখতে মিয়ানমারকে ১ লাখ ৪৭ হাজার ডলার সহযোগিতা দিয়েছে চীন।

2017-05-16T093412Z_145383418_RC1C0AF9B3B0_RTRMADP_3_CHINA-SILKROAD-690x450

চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুজয়ার খবরে বলা হয়েছে, আর্থিক সহযোগিতা প্রদানের অনুষ্ঠানে মিয়ানমারে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত হং লিয়াং উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেছেন, এই অর্থ রাখাইনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে কাজে লাগবে।

গ্লোবাল টাইমস-র খবরে বলা হয়েছে, রাখাইনে শান্তি বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকারকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে চীন যা দুই দেশের সম্পর্ককে আরও গভীর করবে। মিয়ানমারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী উইন মিয়াত আইয়ি অর্থ সহযোগিতার চীনকে ধন্যবাদ জানান এবং প্রতিশ্রুতি দেন সহযোগিতাটির উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করা হবে।

এদিকে, সিনহুয়া জানিয়েছে, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইয়ি ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেটনো মারসুদির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় বিষয়ের পাশাপাশি রাখাইনের পরিস্থিতি নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।

২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইনে দেশটির সেনাবাহিনীর তথাকথিত ক্লিয়ারেন্স অপারেশন শুরু হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। জাতিসংঘ এই অভিযানকে ‘জাতিগত নিধনযজ্ঞের পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।

তবে রোহিঙ্গা ইস্যুতে সব সময় মিয়ানমারের পাশে দাঁড়িয়েছে। চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জেং শুয়াং। তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে সংঘটিত সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছে চীন। তবে সেখানে ‘শান্তি ও স্থিতিশীলতা’ বজায় রাখতে মিয়ানমার সরকার যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তার প্রতি আমাদের সমর্থন রয়েছে।

মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠতা দীর্ঘদিনের। দুই দেশেই অধিকাংশ মানুষ বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী। মিয়ানমারের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার চীন। জাতিসংঘের কূটনীতিকদের অভিযোগ, এর আগেও রোহিঙ্গা-সংকটকে জাতিসংঘের শীর্ষ কাউন্সিলে উত্থাপনে বিরোধিতা করে বেইজিং। সূত্র: সিনহুয়া, গ্লোবাল টাইমস।