উ. কোরিয়ার পরমাণু কেন্দ্রের কাছে কম্পন, বিস্ফোরণ বলছে চীন

ভূমিকম্পউ. কোরিয়ার একটি পরমাণু স্থাপনার কাছে শনিবার ৩ দশমিক ৪ মাত্রার একটি কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে এটি ভূমিকম্প না পারমাণবিক বিস্ফোরণ; সে ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। চীনের ধারণা এটি সন্দেহজনক বিস্ফোরণ। আর দক্ষিণ কোরিয়া বলছে, এটা আসলে ভূমিকম্প ছিল।

চীনের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ সংস্থার এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গ্রিনিচ মান সময় ৮টা ৩০ মিনিটে ভূগর্ভের শূন্য কিলোমিটারের মধ্যে এ কম্পন অনুভূত হয়েছে।

চলতি মাসে এর আগেও পারমাণবিক পরীক্ষার কারণে উত্তর কোরিয়ায় কম্পন অনুভূত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ সংস্থা অবশ্য বলছে, প্রাকৃতিকভাবে ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। পারমাণবিক পরীক্ষাজনিত কম্পন না হওয়ার পক্ষে সংস্থাটির বক্তব্য, কৃত্রিম কম্পনে যে ধরনের আওয়াজ পাওয়া যায়; শনিবারের কম্পনে সে ধরনের কিছু পাওয়া যায়নি।

এদিকে একইদিন উত্তর কোরিয়ায় তেল সরবরাহ কমানোর ঘোষণা দিয়েছে দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র বলে পরিচিত চীন। শনিবার চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে পিয়ংইয়ং থেকে আর বস্ত্রসামগ্রী না কেনারও ঘোষণা দিয়েছে বেইজিং। এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

আন্তর্জাতিকভাবে এমনিতে চাপের মুখে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। তার ওপর গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার চীনের এমন সিদ্ধান্তে দেশটি আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। শুধু চীনে বস্ত্রসামগ্রী রফতানির বাজার হারানোয় বছরে প্রায় ৭০ কোটি ডলারের আয় হারাবে পিয়ংইয়ং। এছাড়া গত দুই মাসে উত্তর কোরিয়ায় পেট্রোলের দাম বেড়েছে ২০ শতাংশ। এখন চীনা সরবরাহ কমে গেলে দাম আরও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়বে। সামগ্রিকভাবে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতিতে। কেননা উত্তর কোরিয়ার বাণিজ্যের প্রায় ৯০ শতাংশই সম্পাদিত হয় চীনের সঙ্গে।

সূত্র: আল জাজিরা, সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।