আদালতে দোষী সাব্যস্ত হওয়া পর রাম রহিমকে নিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্রের দায়ে হানিপ্রীতের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। এছাড়া রাম রহিমকে আদালতে হাজির করার প্রাক্কালে হরিয়ানা, পাঞ্জাব ও দিল্লিতে ছড়িয়ে পড়া ব্যাপক সহিংসতার পেছনেও হানিপ্রীতের সংযোগ ছিল বলে মনে করছে পুলিশ।
রাম রহিমের তৈরি ছয়টি সিনেমার নায়িকা ছিলেন হানিপ্রীত। রাম রহিমের ব্যক্তিগত মুখপাত্র সি পি অরোর আমন্ত্রণে রাম রহিমের গুহায় (গুফা) গিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী রাখি সাওয়ান্ত। তার ভাষ্য, ‘অন্যদের মতো আমিও ভেবেছিলাম রাম রহিম ও হানিপ্রীতের সম্পর্ক বাবা-মেয়ের। কিন্তু ঘাপলা যে আছে তা বুঝতে দেরি হয়নি। আমি রাম রহিমের গোপন গুহা সিরসায়ও গিয়েছিলাম। কারণ তিনি আমাকে জানিয়েছিলেন, তার সব পূজার আনুষ্ঠানিকতা সেখানেই সম্পন্ন হয়। অথচ এখানেই নারীদের ধর্ষণ করা হতো। ধর্মগুরুর কক্ষে গিয়ে দেখলাম ভায়াগ্রা! একজন ধার্মিক নেতার কক্ষে ভায়াগ্রা কেন! দেখে তো হতবাক হয়ে গেলাম। সেদিনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, একদিন তার মুখোশ খুলে দেবো। ইতোমধ্যে তার সব কুকীর্তি ফাঁস হয়ে গেছে।’