রোহিঙ্গাদের প্রতি অঙ্গীকার উপেক্ষা করছে আসিয়ান?

nonameরাখাইন প্রদেশের সব বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে মিয়ানমারের প্রতি চাপ অব্যাহত রেখেছে বাংলাদেশ ও ভারত। তবে বিশ্লেষকরা মনে করেন, অবিলম্বে এ সমস্যার সমাধান করতে হলে আসিয়ানকে অবশ্যই আরও উদ্যোগী হতে হবে।

আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর নিজস্ব সুনির্দিষ্ট নীতিমালা রয়েছে। সেখানে ব্যক্তির মৌলিক অধিকারের কথা বলা হয়েছে। ভারতীয় একজন বিশ্লেষক বলছেন, আসিয়ানভুক্ত যে কোনও সদস্য দেশে ব্যক্তির নিজ দেশের নাগরিকত্ব অর্জন সংক্রান্ত  আইনি অধিকার স্বীকৃত। এটি বিশেষ প্রবিধানের ১৮ নং ধারা অনুযায়ী বিশেষভাবে উল্লিখিত রয়েছে।

মিয়ানমার এখনও আসিয়ানের সদস্য। চক্রাকার পদ্ধতি অনুযায়ী দেশটি এখন এ আঞ্চলিক সংস্থার চেয়ারম্যান। কিন্তু দেশটি রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব স্বীকার করে না। ১৯৮২ সালে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়। এরপর থেকে বরাবরই লক্ষাধিক রোহিঙ্গার মাতৃভূমি নিয়ে অস্তিত্বের সংকটের সমাধান করতে পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে মিয়ানমার। কিন্তু বাস্তবে রোহিঙ্গাদের দায়িত্ব নিতে ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের অনুরোধ বারবার উপেক্ষা করেছে দেশটি।

সমসাময়িক বিষয় সংক্রান্ত বিশ্লেষক অনিল মিশ্র বলেন, এই ইস্যুটি শুধু সমগ্র দক্ষিণ ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্যই হুমকি নয়; বরং এর আন্তর্জাতিক ডালপালা রয়েছে।

বর্তমান প্রেক্ষাপটে, সেখানকার পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাচ্ছে; এমন কিছু দৃশ্যমান নয়। ফলে আসিয়ান-ভুক্ত দেশগুলোকে অবশ্যই তাদের সদস্য দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নীতি বজায় রাখার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

মিয়ানমার স্পষ্টতই রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের  যে কোনও উদ্যোগ উপেক্ষা করে নিজের সুবিধার জন্য অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে আসিয়ানের হস্তক্ষেপ না করার কঠোর নীতির কথা মনে করিয়ে দেবে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতিতে আসিয়ানকে তার কূটনৈতিক বিকল্পগুলো পুনর্বিবেচনা করতে হবে।