হামাস-ফাতাহর চুক্তি, এক বছরের মধ্যে নির্বাচন

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী মুক্তি আন্দোলনের সংগঠন হামাস ও প্রতিদ্বন্দ্বী ফাতাহ জাতীয় সংহতিতে পৌছেছে। তারা জানায় আগামী এক বছরের মধ্যে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট, সংসদ ও জাতীয় পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মিসরের রাজধানী কায়রোয় তিনদিনের আলোচনা শেষে এই ঘোষণা দেয় দল দুটি। ইরানভিত্তিক সংবাদমাদ্যম পার্স টুডের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

4bn27eb4a77866w4uh_800C450

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রায় এক দশক ধরে হামাস ও ফাতাহ আন্দোলনের মধ্যে যে মতপার্থক্য চলে আসছিল তা নিরসনের জন্যই মূলত কায়রোয় এ বৈঠক হয়। দিনের পথম দিকে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, ‘মিশরের মধ্যস্থতায় হামাস ও ফাতাহ আজ ভোরে চুক্তিতে পৌঁছেছে।’

প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস সরকারের প্রতিনিধিদলের প্রধান আজম আল-আহমাদ এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, চুক্তিতে দুই পক্ষই সম্মত হয়েছে যে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে  মিশর এবং গাজা উপত্যকার মধ্যকার রাফা ক্রসিং পয়েন্টের পরিচালনার ভার নেবে  প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনী।

আল-আহমাদ আরো বলেন, ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ সেখানে তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বাস্তবায়নের পাশাপাশি ফিলিস্তিনের সব সীমান্তে প্রেসিডেন্ট গার্ড বাহিনী মোতায়েন করা হবে।

এদিকে, গাজা উপত্যকার ফাতাহ আন্দোলনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা জাকারিয়া আল-আগা ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি-কে জানিয়েছেন, রামাল্লাহভিত্তিক ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস এক মাসের মধ্যে গাজা সফর করবেন। ২০০৭ সালের পর এটা হবে আব্বাসের প্রথম গাজা সফর। বিগদ দশ বছর ধরে হামাস ও ফাতাহর মধ্যে প্রচণ্ড রাজনৈতিক বিরোধ চলে আসছিল।

হামাসের তুমুল প্রতিরোধের মুখে ২০০৭ সালে গাজার নিয়ন্ত্রণ হারায় পশ্চিমা সমর্থিত রাজনৈতিক দল ফাতাহ। তবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে মিসরের মধ্যস্ততায় ফাতাহ সমর্থিত সরকারের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের কাছে গাজার ক্ষমতা হস্তান্তরে একটি চুক্তিতে রাজি হয় হামাস। মূলত গাজা উপত্যকায় ইসরায়েল ও মিসরের অব্যাহত অবরোধ, ফাতাহ সরকারের তৈরি বিদ্যুৎ সংকট এবং সরকারি কর্মকর্তাদের বেতন না দেওয়ার মুখে কিছুটা দুর্বল হয়ে পড়েছে হামাস। এমন পরিস্থিতি ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী এ দলটিকে পশ্চিমা সমর্থিত ফাতাহ’র সঙ্গে চুক্তিতে উপনীত হতে বাধ্য করে।