বাংলাদেশি দুই নারীর প্রত্যয়ে মুগ্ধ ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী

বিশ্বজুড়ে নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের মানবাধিকারের সুরক্ষাজনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দুই বাংলাদেশি নারীর প্রত্যয় দেখে মুগ্ধ হওয়ার কথা জানিয়েছেন ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেন। লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত করতে হলে ওই দুই বাংলাদেশি নারীর মতো যেসব তরুণী ও কিশোরী রয়েছে তাদের প্রতি আরও যত্নশীল হওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মাইশা ও ফারজানা
জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক কন্যা শিশু দিবস পালনের অংশ হিসেবে বুধবার (১১ অক্টোবর) কোপেনহেগেনে ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স লোক্কে রাসমুসেনের সঙ্গে দেখা করেন দুই বাংলাদেশি নারী। তারা হলেন, ১৯ বছর বয়সী কানিতা মাইশা এবং ১৭ বছর বয়সী ফারজানা আক্তার। তাদের সঙ্গে ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রীর ১০ মিনিটের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে বৈঠক দীর্ঘায়িত হয়ে ৪০ মিনিটে গড়ায়। বৈঠকের সময় রাসমুসেন জানান, ওই দুই বাংলাদেশি নারীকে দেখে এবং আরও ভালো কিছুর জন্য দেশে পরিবর্তন আনার ব্যাপারে তাদের সংকল্পের কথা জেনে তিনি মুগ্ধ।    

ড্যানিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজ মাইশা ও ফারজানার সঙ্গে দেখা হওয়াটা অনুপ্রেরণামূলক এবং বিশ্বজুড়ে লাখ লাখ নারী যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে তা নিয়ে আলোকপাত করতে তারা ডেনমার্কে আসায় আমি গর্ববোধ করছি। যদি আমাদেরকে কখনও লৈঙ্গিক সমতা নিশ্চিত সংক্রান্ত লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি ৫ অর্জন করতে হয় তবে ফারজানা ও মাইশার মতো নারীদের প্রতি আমাদের আরও যত্নশীল হতে হবে।’

ডেনমার্কের সম সুবিধা নিশ্চিকরণ বিষয়ক মন্ত্রী কারেণ এলেমেনও ওই দুই বাংলাদেশির প্রশংসা করেছেন। তিনি জানান ওই বাংলাদেশি নারীদ্বয় তার হৃদয় ছুঁয়ে গেছেন।

এলমেন বলেন, ‘তারা দৃঢ়বিশ্বাসী নারী যারা কিনা নারীদের শিক্ষার অধিকারের উন্নয়নে এবং বাল্য বিবাহ ও নিপীড়ন ঠেকাতে উল্লেখযোগ্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। বিশ্বের অন্যান্য জায়গায় তরুণরা বিশেষ করে নারীরা কী ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে তা জানাটা ডেনমার্কের তরুণদের প্রয়োজন।’

ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা ছাড়াও বেশ কয়েকটি ড্যানিশ স্কুলে গিয়েছেন ফারজানা ও মাইশা। সেখানে ১ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর সামনে বাল্য বিবাহ এবং বাংলাদেশের নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন তা নিয়ে কথা বলেছেন তারা। ভিন্ন ভিন্ন ভাবে বড় হলেও এ দুই নারী জানিয়েছেন প্রতিদিন তারা যেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেন তা একইরকমের। তারা দুইজনই এখন প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের স্বেচ্ছাসেবী।