রোহিঙ্গাদের ঠেকাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তে নজরদারি বাড়াচ্ছে ভারত

রোহিঙ্গাদের প্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সংলগ্ন সীমান্তে নিয়োজিত বাহিনীকে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ভারত সরকার। দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআই খবরটি জানিয়েছে। ওই কর্মকর্তা জানান, রোহিঙ্গাদের প্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে সতর্ক অবস্থানে থাকতে বলা হয়েছে।

increase-vigil-along-bangladesh-myanmar-borders-government-to-forces

পিটিআই-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে সেনা মোতায়েন করতে বলা হয়েছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফকে। আর মিয়ানমারের ১ হাজার ৬৪৩ কিলোমিটার অঞ্চলজুড়ে মোতায়েন থাকবে আসাম রাইফেলস।

ওই কর্মকর্তা জানান, দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীকেই সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে যেন কোনও রোহিঙ্গা প্রবেশ করতে না পারে।

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী বলে ঘোষণা দিয়েছেন। পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই এর  সঙ্গেও তাদের সংযোগ রয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ৯ আগস্ট ভারত সরকার পার্লামেন্টে জানিয়েছিলো যে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর আওতায় ভারতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১৪ হাজারেরও বেশি। ত্রাণ সংস্থাগুলোর ধারণা ভারতে ৪০ হাজার রোহিঙ্গার বসবাস রয়েছে।

২৫ আগস্ট রাখাইন রাজ্যে সহিংসতার পর সামরিক বাহিনীর নিধনযজ্ঞ থেকে বাঁচতে ৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। তারা মিয়ানমার বাহিনীর অত্যাচার ও নিপীড়নের কথা জানায়। বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিলেও রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকে আহ্বান জানিয়ে আসছে সরকার। আর ভারত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।