জরুরি অবস্থা চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী কোনও ধরনের পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারবে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো ছাড়াই ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালানোর সুযোগ পাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া এর ফলে সংবাদমাধ্যমের ওপরও অবাধ নিয়ন্ত্রণ আরোপের সুযোগ পাবে কর্তৃপক্ষ।
জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণার আগেই দেশজুড়ে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন জেনারেল সিসি।
মিসরের আইনে জরুরি অবস্থা কার্যকর করতে হলে পার্লামেন্টের অনুমোদন নিতে হয়। তবে পার্লামেন্টে জেনারেল সিসি’র সংখ্যাগরিষ্ঠতা রয়েছে।
এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটিতে প্রথম দফা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। কপটিক খ্রিস্টানদের দুই গির্জায় বোমা হামলায় ৪৫ জন নিহতের পর প্রথম দফা জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এরপর দ্বিতীয় দফায় গত জুলাইয়ে এবং তৃতীয় দফায় ১২ অক্টোবর তিন মাস করে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়।