পতুর্গাল ও স্পেনে দাবানলে ৩৯ জনের প্রাণহানি

nonameইউরোপের দুই দেশ পতুর্গাল ও স্পেনে দাবানলের ঘটনায় অন্তত ৩৯ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে পর্তুগালের মধ্যাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলে ৩৬ জন এবং স্পেনে তিনজন নিহত হয়েছেন। গত রবিবার থেকে মঙ্গলবারের মধ্যে এসব প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। দুই দেশের কর্মকর্তারাই নিহতের এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন। ব্যাপক দাবানল ও প্রাণহানির ঘটনায় মঙ্গলবার থেকে পর্তুগালে তিন দিনের জাতীয় শোক শুরু হয়েছে। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন।

দাবানলে নিহতদের অধিকাংশই পর্তুগালের কোয়িমব্রা, গুয়ার্দা, ক্যাস্টেলো ব্রানকা এবং ভিসেউ এলাকার বাসিন্দা। রাস্তার পাশে পুড়ে যাওয়া একটি গাড়িতেও দুজনের লাশ পাওয়া গেছে। পর্তুগিজ ন্যাশনাল অথরিটি ফর সিভিল প্রটেকশন (এএনপিসি)-এর মুখপাত্র প্যাট্রিসিয়া গ্যাসপার সিএনএন’কে জানিয়েছেন, দাবানলের ভয়াবহতায় দেশটিতে অন্তত ৬৩ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৬ জনের অবস্থা গুরুতর।

পর্তুগালের স্পেন সীমান্তবর্তী গ্যালিসা অঞ্চলের বিস্তৃত এলাকাজুড়ে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে সশস্ত্র বাহিনী ও দমকল বাহিনীর কয়েক হাজার সদস্য। গত রবিবার থেকে শুরু হওয়া ১৪৫টি দাবানলের মধ্যে কয়েক ডজন দাবানল গুরুতর বলে আশঙ্কা করছে দেশটির বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলো।

noname

প্রলয়ঙ্করী হারিকেন ওফেলিয়ার কারণে দাবানল পরিস্থিতি আরও মারাত্মক রূপ নিয়েছে। হারিকেনজনিত ব্যাপক বাতাসের ফলে দাবানল দ্রুত আরও জোরালো হয়ে চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে অন্তত ১২টি সড়ক এবং কয়েকটি এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সন্ধ্যায় কথা বলেছেন পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টোনিও কসতা। তিনি বলেন, ‘এটি একটি শোকের মুহূর্ত। ঘটনার শিকার পরিবারগুলোর সদস্যদের প্রতি আমরা সমবেদনা জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে বড় ধরনের দাবানল বন্ধে সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’

তিনি বলেন, সরকারি সংস্থাগুলোর তৎপরতা এবং রাতের বেলার বৃষ্টিপাত আগুনের তীব্রতা কমাতে সহায়ক হয়েছে। সূত্র: সিএনএন, বিবিসি।