কানাডার কুইবেকে সরকারি প্রতিষ্ঠানে নেকাব নিষিদ্ধ

কানাডার কুইবেক প্রদেশে সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীদের জন্য নেকাব পরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। সম্প্রতি পাশ হওয়া এই আইনে সেখানে ধর্মীয় নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।  বুধবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

_98376007_mediaitem98376006

প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনটিই পাশ করেছে কুইবেক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি। সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নারীদের বোরকা ও নিকাব পরা নিষিদ্ধ করে তাদের মুখ দেখানো বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে এই আইনের মাধ্যমে।

কুইবেক ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে 'বিল সিক্সটি-টু' নামের এই আইনটি পাশ হয় ৬৬-৫১ ভোটে। এর আগে ২০১৪ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা লিবারেলরা এই বিলটি উত্থাপন করেছিল। এখন প্রদেশের আমলা,পুলিশ কর্মকর্তা, বাস চালক, ডাক্তার, মিডওয়াইভ এবং দাঁতের ডাক্তারসহ সরকারি যেকোনও প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের মুখ খোলা রাখতে হবে। এছাড়া প্রদেশের যেসব শিশুকেন্দ্রে ধর্মীয় শিক্ষা দেওয়া হতো সেই সেবাও বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানা যায়।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কোনও ধরনের আচ্ছাদন বা আবরণ মুখে থাকবেনা এমনটাই আইনে বলা হচ্ছে, তার অর্থ এই নয় যে মুসলিমদের টার্গেট করে এমনটা করা হয়েছে।

'বিল সিক্সটি-টু' নামের এই আইনটিতে কোথাও মুসলিমদের বিশ্বাসের কথা উল্লেখ নেই। তবে স্বাভাবিকভাবেই এই আইনের প্রভাব মুসলিম নারীদের ওপরেই সবচেয়ে বেশি পড়বে।

সরকারের দাবি, যোগাযোগ ও নিরাপত্তা ইস্যুকে মাথায় রেখে এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তবে এটি মুসলিম নারীদের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কুইবেকে কত নারী নেকাব পড়ে সেই বিষয়ে এখনও স্পষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে ২০১৬ সালের এক জরিপের তথ্য অনুযায়ী- কানাডার ৩ শতাংশ মুসলিম নারী চাদর পরে এবং ৩ শতাংশ নারী নিকাব পরে।