প্রতিবেদনে বলা হয়, পিজা ডেলা রিপাবলিকার পাশের রাস্তায় হাঁটার সময় ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ওই তরুণীর পিছু নেয় ২৫ মদ্যপ। এ সময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে তারা তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। তবে শেষ পর্যন্ত হোসেইন আলমগীরের (৫৮) সহায়তায় দুবৃত্তদের হাত থেকে বেঁচে যান ওই তরুণী।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে গায়া গুরনোত্তা লিখেছেন, ‘রাত সাড়ে ১১ টার দিকে রাস্তায় একা হাঁটতে বেরিয়েছিলাম। এরপর মাতালরা আমার পিছু নেয়। তারা যেভাবে আমাকে ঘিরে রেখেছিল তা অবর্ণনীয়। তারা বলতে থাকে, আমাদের সঙ্গে চলো, আমরা তোমাকে ভালো সময় দেবো, ২৫ জনের বিপরীতে একজন একটা চমৎকার রাত। চল একসঙ্গে মজা করি।’
গায়া গুরনোত্তা বলেন, ‘আমার দিকে থুতু নিক্ষেপ করা হয়। অন্যরা তাদের মোবাইলে এ দৃশ্য ধারণ করতে থাকে।’
গায়া গুরনোত্তা'র পোস্টের স্ক্রিনশট:
.
গোলমাল টের পেয়ে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুল বিক্রেতা হোসেইন আলমগীর সেখানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করেন। গায়া গুরনোত্তাকে উদ্ধারের পর একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে গিয়ে তাকে খেতে দেন আলমগীর। মানসিক অবসাদ কাটিয়ে উঠতে তাকে একটি গোলাপ উপহার দেন।
গায়া গুরনোত্তা লিখেছেন, হোসেইন যখন আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছিল তখনও তারা আমাকে যৌনকর্মী বলে গালি দিতে থাকে। হোসেইনের মতো মানুষদের জন্য পৃথিবীকে ধন্যবাদ; যারা কোনও প্রতিদান ছাড়াই সাহায্য করে। তার চেহারা কখনও ভুলবো না।
উল্লেখ্য, ২০০৫ সাল থেকে ইতালিতে বাস করছেন হোসেইন আলমগীর। ফলে সেখানকার অনেক কিছুই তার চেনাজানা।