মিসরে গ্রেফতার অভিযানে ৩৫ সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত

Egyptমিসরে নিরাপত্তা বাহিনীর এক গ্রেফতার অভিযানে পাল্টা হামলায় ৩৫ সেনা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। দেশটির সশস্ত্র সংগঠন হাসম-এর বিরুদ্ধে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

শুক্রবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় বাহারিয়া মরুভূমি এলাকায় এ হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বন্দুকযুদ্ধে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য হতাহত হয়েছেন। এছাড়া এতে কয়েকজন হামলাকারীও নিহত হয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে অবশ্য হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনও সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি। তবে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো ৩৫ জন নিহতের খবর জানিয়েছে।

আল জাজিরা’র প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা বাহিনীর এক গ্রেফতার অভিযানে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হলে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

একটি সূত্র জানিয়েছে, নিরাপত্তা বাহিনীর ওপর হামলায় রকেট নিক্ষেপেরও ঘটনা ঘটে।

এখনও পর্যন্ত কেউ এ হামলার দায় স্বীকার করেনি। তবে গ্রেফতার অভিযানের লক্ষ্যবস্তু হাসম-এর সদস্যরা হওয়ায় তারাই এ হামলার সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

চলতি বছরের ১২ অক্টোবর মিসরে জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়লো আরও তিন মাস বাড়ানোর ঘোষণা দেন দেশটির প্রেসিডেন্ট জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। জরুরি অবস্থা নবায়নের ঘোষণার মধ্যেই শুক্রবারের এ হামলার ঘটনা ঘটলো।

জরুরি অবস্থা চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনী কোনও ধরনের পরোয়ানা ছাড়াই সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পারে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখানো ছাড়াই ঘরবাড়িতে তল্লাশি চালানোর সুযোগ পায় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়া এর ফলে সরকার সংবাদমাধ্যমের ওপর অবাধ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে পারে।

২০১২ সালের ৩০ জুন মিসরের ইতিহাসের প্রথম নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেন মোহাম্মদ মুরসি। এক বছরের মাথায় ২০১৩ সালের ৩ জুলাই সেনা অভ্যুত্থানে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হন। সেনাশাসন জারির পর থেকেই দেশটিতে এ ধরনের হামলা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মুরসি’র দল মুসলিম ব্রাদারহুড বলছে, তারা কোনও ধরনের সন্ত্রাসী হামলায় বিশ্বাসী নয়।

দৃশ্যত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত এবং সেনাশাসনের প্রেক্ষাপটে দেশটিতে আইএসের মতো জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।