বায়ুমণ্ডলে রেকর্ড মাত্রার কার্বন ডাই অক্সাইড

পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের উপস্থিতি ২০১৬ সালে রেকর্ড পরিমাণ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে উদ্বেগ জানিয়েছে বিশ্বের আবহাওয়াবিষয়ক সংস্থা (ডব্লিউএমও)। সংস্থাটির দাবি, গত ১০ বছরের তুলনায় গত বছর কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির গড় ৫০ শতাংশ বেড়েছে।

কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হওয়ার প্রতীকি ছবি
গবেষকরা বলছেন, মানব প্রজাতির কর্মকাণ্ড এবং এল নিনোর প্রভাবে কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ এমন এক মাত্রায় পৌঁছেছে যা ৮ লাখ বছরের মধ্যে দেখা যায়নি। এ ধরনের ঝুঁকিগুলো বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ঠেকানোর লক্ষ্যকে অসাধ্য করে তুলছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা।

উল্লেখ্য, এল নিনো হচ্ছে সমুদ্রের উপরিভাগের জলের তাপমাত্রার একটি নিরবিচ্ছিন্ন পরিবর্তন। পূর্ব-কেন্দ্রীয় গ্রীষ্মমণ্ডলীয় শান্ত সমুদ্রের জলের গড়পড়তা তাপমাত্রায় যখন কমপক্ষে ০.৫° সেলসিয়াস হ্রাস-বৃদ্ধি হয় তখনকার পরিস্থিতিকে এল নিনো বলে বিবেচনা করা হয়৷ ২ থেকে ৭ বছর পরপর এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়। 

এল নিনোর কারণে খরা হওয়ার কারণে গাছপালা কার্বন ডাই অক্রাইড কম শোষণ করে
ডব্লিউএমও এ বছর ৫১টি দেশের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে গ্রিনহাউজ গ্যাস বুলেটিনটি তৈরি করেছে। প্রতিবেদনে দেখা যায়, ২০১৬ সালে কার্বন ডাই অক্সাইড ব্রদ্ধির গড় ৪০৩.৩ পার্টস পার মিলিয়ন বা পিপিএম হয়েছে; যা আগের বছর ৪০০ পিপিএম ছিল। কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি বেড়েছিল গত এল নিনোর সময়, ১৯৯৭-১৯৯৮ সালে। এ বৃদ্ধির হার ছিল ২.৭ পিপিএম কিন্তু এখন সেই বৃদ্ধির হার ৩.৩ পিপিএম। গত ১০ বছরের বৃদ্ধির গড় থেকে এটি ৫০ শতাংশ বেশি।’

ডব্লিউএমও’র বৈশ্বিক বায়ুমণ্ডল পর্যবেক্ষণ কর্মসূচির প্রধান ওকসানা তারাসোভা বিবিসিকে বলেন, ‘এ নেটওয়ার্কের আওতায় ৩০ বছরে আমাদের দেখা সবচেয়ে বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড বৃদ্ধির ঘটনা এটি।

এল নিনোর কারণে খরা সৃষ্টি হয় আর তাতে গাছপালা কার্বন ডাই অক্সাইড কম শোষণ করতে পারে। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ৭০ বছরে বায়ুমণ্ডলে কার্বন ডাই অক্সাইডের বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ১০০ গুণ বেড়েছে।