২০১৭ সালের অক্টোবরে ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দেন, ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু চুক্তি থেকে যে কোনও সময় যুক্তরাষ্ট্র বেরিয়ে যেতে পারে। কারণ এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বাজে চুক্তি। তেহরান চুক্তির শর্ত মানছে না। কাজেই হোয়াইট হাউস আর এই চুক্তি প্রত্যয়ন করবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি পরমাণু সমঝোতা ছিঁড়ে না ফেলে তাহলে আমরাও সেটি ছিঁড়বো না। আর যদি তারা সমঝোতা ছিঁড়ে ফেলে তাহলে আমরা সেটিকে টুকরো টুকরো করে ফেলবো।
চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ট্রাম্পের ঘোষণার পর এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স জানায়, চুক্তির প্রতি তাদের অঙ্গীকার অব্যাহত থাকবে। ফলে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পরমাণু চুক্তির ভবিষ্যত নিয়ে পুতিনের সঙ্গে আলোচনা করবেন ইরানি কর্মকর্তারা।
সিরিয়া সংকটে দেশটির প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রাশিয়া ও ইরান। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপের অধিকাংশ দেশ আসাদকে সিরিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার অন্তরায় মনে করে। আসাদের ক্ষমতা সংহত করার বিষয়টি তাই রাশিয়া ও ইরান উভয় দেশের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
সফরে রাশিয়া, ইরান ও আজারবাইজান’কে নিয়ে ত্রিদেশীয় এক বৈঠকেও অংশ নেবেন পুতিন।