রাশিয়া সফরে এরদোয়ান

রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানআগামী ১৩ নভেম্বর সোমবার রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। সফরে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয়ে কথা বলবেন দুই নেতা। আলোচনায় বিশেষভাবে প্রাধান্য পাবে ইরাক ও সিরিয়া পরিস্থিতি। তুর্কি প্রেসিডেন্টের দফতরের এক বিবৃতিতে এ সফরের কথা নিশ্চিত করা হয়েছে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর তুরস্কের রাজধানী আঙ্কারায় দুই নেতার সর্বশেষ সাক্ষাৎ হয়। এ সময় দুই নেতা ইরাক ও সিরিয়ার অখণ্ডতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এর আগে গত ৩ মে গৃহযুদ্ধ কবলিত সিরিয়ায় একটি সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল প্রতিষ্ঠায় একমত হয় রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরান।

সিরিয়া প্রশ্নে তুরস্ক ও রাশিয়ার অবস্থান পরস্পরবিরোধী। ইতোপূর্বে আঙ্কারার পক্ষ থেকে প্রায়ই মস্কোর বিরুদ্ধে আসাদ সরকারকে সমর্থন দেওয়ার অভিযোগ তোলা হতো। একপর্যায়ে রুশ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার ঘটনায় দুদেশের সম্পর্কে ফাটল দেখা হয়। পরে ওই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এরদোয়ান। এরপর থেকে দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে।

২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ সেনা অভ্যুত্থানের পর এরদোয়ান রাশিয়ার দিকে আরও ঝুঁকে পড়েন। এরদোয়ান মনে করেন ব্যর্থ অভ্যুত্থান চেষ্টার পেছনে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ’র হাত রয়েছে। তারা যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত তুর্কি নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অভ্যুত্থান চেষ্টায় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছে। ফলে এরদোয়ান বুঝতে পারেন, সিআইএ ও ন্যাটো তার ওপর আস্থা রাখতে পারছে না। এতে তিনি রাশিয়ার সঙ্গে তিক্ততার অবসান ঘটিয়ে মৈত্রী পুনরুদ্ধারে আগ্রহী।

ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর এক ভাষণে এরদোয়ান বলেন, তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানে আমাদের পশ্চিমা বন্ধু রাষ্ট্রগুলোর সমর্থন ছিল। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তারা চেয়েছিল এই অভ্যুত্থান সফল হোক। কিন্তু তুর্কি জনগণ সেটা হতে দেয়নি। সূত্র: রয়টার্স।