অবরোধকারী দেশগুলো সংকটের সমাধান চায় না: কাতার

শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানিকাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোর সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতায় পৌঁছাতে দোহা প্রস্তুত রয়েছে। এই আলোচনার ভিত্তি হবে কাতারের সার্বভৌমত্ব। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, কাতারের বিরুদ্ধে স্থল, নৌ ও আকাশপথে অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো সংকটের সমাধান চায় না। মঙ্গলবার কাতারি পার্লামেন্টের অধিবেশনে দেওয়া বক্তব্যে এসব  কথা বলেন দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।

শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি বলেন, অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো আমাদের জনগণের শক্তিকে অবমূল্যায়ন করছে। তাদের এমন আচরণ উপসাগরীয় দেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে অন্য জায়গায় নিয়ে গেছে। তবে কাতার এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। এই অভিজ্ঞতা আমাদের আরও সমৃদ্ধ করেছে। এটা আমাদের জাতীয় ঐক্য ও নেতৃত্বকে আরও শক্তিশালী করেছে।

তিনি বলেন, এই সংকটকালে আমরা আত্মসংযম দেখিয়ে যাচ্ছি। তবে অবরোধ আরোপকারী দেশগুলো কাতারের বিরুদ্ধে তাদের কথিত অভিযোগ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বোঝাতে সক্ষম হবে না। কারণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে আমাদের লড়াইয়ের প্রমাণ রয়েছে এবং এটা সবারই জানা আছে।

গত ৫ জুন ‘সন্ত্রাসবাদে সমর্থনের’ অভিযোগে সৌদি আরবের নেতৃত্বে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। তবে সৌদি জোটের দাবি বরাবরই অস্বীকার করে এসেছে কাতার।

গত মাসে সৌদি আরবের ব্যাপক ক্ষমতাধর যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান রয়টার্সকে বলেন, কাতারের সঙ্গে চলমান উত্তেজনা সৌদি আরবের উন্নয়নের মহাপরিকল্পনাকে প্রভাবিত করবে না। আমাদের জন্য কাতার ইস্যু খুবই সামান্য বিষয়।

এদিকে গালফ কাউন্সিল (পিজেসিসি) থেকে কাতারের সদস্যপদ স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী খালিদ বিন আহমেদ আলে খলিফা। অন্যথায় বাহরাইন এ সংস্থা ত্যাগ করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘কাতার যদি মনে করে টালবাহানা করে তারা আসন্ন পিজেসিসি’র শীর্ষ সম্মেলন পর্যন্ত সময় পাবে; তবে তারা ভুল করেছে। পরিস্থিতি এ রকম থাকলে শীর্ষ সম্মেলনে বাহরাইন যোগ দেবে না।’ তার দাবি, পিজেসিসি’কে রক্ষা করতে হলে সংস্থাটিতে কাতারের সদস্যপদ স্থগিত করতে হবে।