রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর প্রতিবেদন অদ্ভূত: এইচআরডব্লিউ

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারর সেনাবাহিনী কর্তৃক প্রকাশিত তদন্ত প্রতিবেদনকে ‘অদ্ভূত’ বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। তারা জানায়, এখনই আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের তদন্ত শুরু করা উচিত। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।

ac89a00955fe4fd4800ca45ea5860591_18

প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবার এক বিবৃতিতের মাধ্যমে সামরিক তদন্ত প্রতিবেদনের সমালোচনা করে এইচআরডব্লিউয়ের ব্র্যাড অ্যাডামস। বলেন, ‘হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় নিজেদের জড়িত থাকার কথা সেনাবাহিনী অস্বীকার করে প্রতিবেদন প্রকাশের মধ্য দিয়ে এটা স্পষ্ট যে নিরপেক্ষ তদন্ত অনেক প্রয়োজন।’

গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে সহিংসতার পর রোহিঙ্গাদের ওপর নিধনযজ্ঞ চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। হত্যা ও ধর্ষণ থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে ছয় লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকীয় উদাহরণ’ বলে আখ্যায়িত করেছে।

সেই ঘটনায় পালিয়ে আসাদের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘ ও আন্তজার্তিক মানবাধিকার সংস্থাগুলো মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়ী করলেও সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সেই কথা অস্বীকার করে সেনাবাহিনী। উল্টো রোহিঙ্গাদের ওপরই দোষ দেয় তারা। জানায় ‘বাঙালি সন্ত্রাসীরা’ আগুন দিয়েছে এবং সেজন্য রোহিঙ্গারা পালিয়ে গেছে।

ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, ‘মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আবারও প্রমাণ করলো যে তারা নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করতে পারবে না।

জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের বিশ্বের সবচেয়ে নিপীড়িত জনগোষ্ঠী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটির মুখপাত্র জেরেমি লরেন্স বলেন, বাংলাদেশে তাদের তদন্তকারীরা মিয়ানমারে নির্যাতনের আলামত পেয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের তদন্তে অনক কিছুবই স্পষ্ট। মিয়ানমারে যেই হত্যা, ধর্ষণ ও নিধনযজ্ঞের কথা আমরা শুনতে পাচ্ছিলাম তার প্রমাণ পেয়েছি আমরা ‘

হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানায়, এখন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। অ্যাডামস বলেন, ‘যে কারণে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তৈরি হয়েছিলো ঠিক সেই কাজটিই করছে মিয়ামারের সেনাবাহিনী।

বুধবার মিয়ানমার সফর করবেন মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রী রেক্স টিলারসন। রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে মিয়ানমারের দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক ও ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মঙ্গলবার বলেছিলেন, শরণার্থীদের নিরাপদে দেশে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি সমর্থন করেনে। এছাড়া আনান কমিশনের দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়নের সহায়তা করবে যুক্তরাষ্ট্র।