কম্বোডিয়া থেকে চাল আমদানি: ডিসেম্বরে ঢাকা আসছেন কর্মকর্তারা

বাংলাদেশে চাল রফতানির বিষয়ে আলোচনার জন্য আগামী মাসে ঢাকায় আসছে কম্বোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তাসহ ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি বাংলাদেশ দেশটি থেকে চাল কেনার প্রস্তাব ফিরিয়ে নেয়ার তারা ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছে কম্বোডিয়ান সংবাদমাধ্যম খেমার টাইমস।

c1_1360391_171114202657_620x413

সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, গত আগস্ট মাসে কম্বোডিয়ার মধ্যে হওয়া সমঝোতা চুক্তি অনুযায়ী, ২০২২ সাল পর্যন্ত দেশটি থেকে এক ট্রিলিয়ন টন চাল আমদানি করার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু সময় মতো সরবরাহ করতে না পারায় প্রথম চুক্তিটি বাতিল করে দেয় বাংলাদেশ।

কম্বোডিয়ার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লং কেম ভিনচেট বলেন,‘ওই সমঝোতা চুক্তির ভিত্তিতেই দুই দেশ আরেকটি নতুন প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করছে।কিছু সমস্যার কারণে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। এখনও চুক্তি বলবৎ, আমরা বাংলাদেশে চাল পাঠাবো। এখন নতুন চুক্তি নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করছি।’ ডিসেম্বরে বাংলাদেশে এসে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে বলেও জানান তিনি।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়,সময় মতো চাল না পাঠানোয় সম্প্রতি বাংলাদেশ আড়াই লাখ টন চালের প্রথম চুক্তিটি বাতিল করে দেয়। বাংলাদেশের খাদ্য ক্রয় বিভাগের প্রধান বদরুল হাসানের বরাত দিয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, কম্বোডিয়া সময়মতো চাল সরবরাহ করতে না পারায় চুক্তিটি বাতিল করা হয়েছে।
এনিয়ে কম্বোডিয়া রাইস ফেডারেশনের (সিআরএফ) ভাইস প্রেসিডেন্ট হুন লাক বলেন, রফতানি প্রক্রিয়া দ্রুত করতে বাংলাদেশের খুব বেশি তাড়া ছিল। কিন্তু আমরা ‘ফ্রি অন বোর্ড’ (আলাদা চার্জ বাদ দিয়ে চালানো) জাহাজের জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ পদ্ধতিতে লেনদেন আমাদের জন্য সুবিধাজনক। কিন্তু তাদের উচ্চ চাহিদা থাকায় অর্ডারটি বাতিল হয়।
কম্বোডিয়ান কর্মকর্তা লং কেম ভিনচেট বলেন,দুই দেশের করা সমঝোতা চুক্তিটি এখনও আগের মতোই আছে। কম্বডিয়াও বাংলাদেশে চাল রফতানি করবে। এখন নতুন চুক্তি নিয়ে কথাবার্তা চলছে।
চাল উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে। তবে এবছরের এপ্রিল মাসে আকস্মিক বন্যায় চাল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একারণে দেশে চালের মজুদ কমে গিয়ে স্থানীয় বাজারে দাম অনেক বেড়ে গেছে।