মহড়ার ঘটনায় তুরস্কের কাছে ক্ষমা চাইলেন ন্যাটো মহাসচিব

জেন্স স্টেলটোনবার্গন্যাটোর যৌথ মহড়ায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতার্তুক’কে ‘শত্রু’ হিসেবে উপস্থাপনের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টেলটোনবার্গ। এক লিখিত বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘যে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে; তার জন্য আমি ক্ষমা চাইছি। এ ঘটনা একজনের ব্যক্তিগত ভুলের পরিণাম। এটা ন্যাটোর মতামতের প্রতিফলন নয়। ওই ব্যক্তিকে মহড়া সংক্রান্ত কার্যক্রম থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, তুরস্ক ন্যাটোর গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। আমাদের সম্মিলিত নিরাপত্তায় তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।

ন্যাটো প্রধান বলেন, নরওয়ের একজন বেসামরিক ঠিকাদার এই কাজ করেছেন। তিনি ন্যাটোর কোনও কর্মী নন। নরওয়েজিয়ান কর্তৃপক্ষকেই তার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

এর আগে শুক্রবারের এ ঘটনায় তুর্কি সেনাদের অবিলম্বে ওই মহড়া থেকে ফিরে আসার নির্দেশ দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। তার নির্দেশ অনুযায়ী মহড়ায় অংশ নেওয়া ৪০ তুর্কি সেনা ফিরে আসেন।

শুক্রবার তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) নেতাদের এক বৈঠকে এ ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন এরদোয়ান।

তুর্কি প্রেসিডেন্ট বলেন, নরওয়েতে অনুষ্ঠিত ওই মহড়ায় শত্রু তালিকায় (এনিমি চার্ট)-এ তার নাম এবং তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা মোস্তফা কামাল আতাতুর্কের ছবি ব্যবহার করা হয়েছে।

তুরস্কের চিফ অব জেনারেল স্টাফ হুলুসি আকর এবং দেশটির ইউরোপীয় ইউনিয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ওমর সেলিক এ ঘটনা জানার পর দ্রুত এরদোয়ানকে বিষয়টি অবহিত করেন। এরদেয়ান বলেন, ‘তারা আমাকে জানান, নরওয়ে থেকে আমাদের ৪০ সেনাকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। আমি তাদেরকে সেনাদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে বলি। এ ধরনের কোনও জোট হতে পারে না।’

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ১৫ জুলাই তুরস্কের ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পর দেশটির অভ্যুত্থান সমর্থক কিছু সেনা কর্মকর্তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া নিয়ে নরওয়ের সঙ্গে দেশটির উত্তেজনা তৈরি হয়।

সূত্র: ইন্ডিপেনডেন্ট, আনাদোলু এজেন্সি।