রোহিঙ্গা প্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ বাড়াচ্ছে ভারত

 

রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ’র সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ করতে যাচ্ছে ভারত। রোহিঙ্গাদের দেশ থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্তের ওপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশের পর দেশটির উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

বিএসএফ

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশের সঙ্গে ১৬৭টি অরক্ষিত পয়েন্ট চিহ্নিত করেছে বিএসএফ। এসব পয়েন্টে রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করে ফেরত পাঠাতে পাহারা জোরদা্র করা হয়েছে। বিএসএফ বাংলাদেশের সঙ্গে মোট ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত পাহারা দেয়। তারা আরও ৫ হাজার লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।

বিএসএফ জানায়, বেশিরভাগ রোহিঙ্গা পশ্চিমবঙ্গের চব্বিশ পরগনা ও হিলি এবং আসামের করিমগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করে। 

দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন,‘সীমান্ত রক্ষী বাহিনী আরও লোকবল ও প্রাযুক্তিক সহায়তা চেয়েছে। কোনও রোহিঙ্গা যাতে ভারতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য টহল বাড়ানা হয়েছে। ’

গত সপ্তাহে বিএসএফ’র মহাপরিচালক কে কে শর্মা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘একই ধরনের চেহারা হওয়ায় বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের আলাদা করা কঠিন। বিএসএফ সদস্যরা তাদের ভাষা শুনে আলাদা করতে পারে না। এবছর বিএসএফ ৮৭ জন রোহিঙ্গাকে ধরার পর ৭৬ জনকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও রোহিঙ্গা সীমান্তে অস্ত্র, বিস্ফোরক অথবা আপত্তিকর কোনও জিনিস নিয়ে ধরা পড়েনি।

এর আগে ৯ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত করে ফেরত পাঠানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে পিটিশন দায়ের করেন মোহাম্মদ সামিউল্লাহ ও মোহাম্মদ সাকির নামে দুই রোহিঙ্গা। ওই পিটিশনের শুনানির পরবর্তী তারিখ ৫ ডিসেম্বর।

ভারতে এখন পা্রয ৪০ হাজারে মতো রোহিঙ্গা রয়েছে বলে দাবি করে দেশটি। এর মধ্যে জম্মুতেই রয়েছে ৫ হাজার ৭শ জনের মতো। তবে এর মধ্যে প্রায় ১৬ হাজার রোহিঙ্গা জাতিসংঘ হাই কমিশনে নিজেদের শরণার্থী হিসেবে নিবন্ধন করেছেন।