কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জেরুজালেম প্রশ্নে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত

ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হবে কিনা, আর অল্প কিছু সময়ের মধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। জেরুজালেম অ্যাম্বাসি অ্যাক্ট নামের এক আইনের আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেবেন তিনি। ওই আইন অনুযায়ী, চলতি বছর জুনে ট্রাম্প এই সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এবারও চাইলেই ট্রাম্প আবারও ৬ মাসের জন্য সিদ্ধান্তটি স্থগিত রাখতে পারবেন।

donald-trump-israel_650x400_61495460730

ইহুদি-খ্রিস্টান ও মুসলিম; তিন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয় তীর্থস্থান জেরুজালেম। শুক্রবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্টসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানায় চলতি মাসের ৬ তারিখেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পশ্চিম জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস স্থাপন করতে পারেন। এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলেই জেরুজালেম ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন স্বীকৃতি পাবে।

মার্কিন দূতাবাসকে তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে স্থানান্তর করতে ১৯৯৫ সালেই একটি আইন প্রণয়ন করে মার্কিন কংগ্রেস। তখন থেকে এ পর্যন্ত কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট দূতাবাস স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেননি। ওই আইনের বিধান অনুযায়ী, সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের সামগ্রিক ক্ষমতা মার্কিন প্রেসিডেন্টের। চাইলে তারা জাতীয় নিরাপত্তা ও অন্যান্য জাতীয় স্বার্থের বিবেচনায় প্রতি ৬ মাস পর পর স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সেই ১৯৯৫ সাল থেকেই প্রত্যেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইনগত সেই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে সিদ্ধান্ত স্থগিত রেখেছেন। ফলে তেল আবিবেই থেকে গেছে মার্কিন দূতাবাস।

জেরুজালেমকে তাদের ভবিষ্যত রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে চায় ফিলিস্তিনও। আর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ও শহরটিকে ইসরায়েলের অংশ হিসেবে মেনে নেয়নি। ব্যাপারে ট্রাম্পের পরিকল্পনার কঠোর সমালোচনা করে ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ বলছে, দখলকৃত পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী করার দাবিকে পাশ কাটিয়ে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তার প্রভাব হবে ধ্বংসাত্মক।