ট্রাম্পের পদক্ষেপে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের উদ্বেগ

জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী ঘোষণা করায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। দুটি সংস্থাই ট্রাম্পের ঘোষণায় উদ্বেগ জানিয়েছে। জেরুজালেমকে ঘিরে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তকে শান্তির পথে বাধা মনে করছে তারা।প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনার গতকালই (মঙ্গলবার) জানিয়েছিলেন, জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
noname

মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই এবিসি নিউজ মঙ্গলবার আভাস দিয়েছিল, দূতাবাস এখনই না সরালেও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সমন্বিত জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী ঘোষণা করতে পারেন। বুধবার  ট্রাম্প প্রশাসনের একজন কর্মকর্তা জানান, দূতাবাস স্থানান্তরে সময় নিলেও জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানীর স্বীকৃতি দিতে দেরি করবেন না বিতর্কিত এই রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট। ঘোষণা অনুযায়ী বুধবার দুপুরেই ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলি রাজধানী ঘোষণা করেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্থনিও গুয়েতেরেস বলেন, এই ঘোষণায় ইসরায়েলে ও ফিলিস্তিনের মাঝে শান্তি প্রক্রিয়া হুমকির মুখে পড়লো। যুগ যুগ ধরে মার্কিন অবস্থান থেকে সরে আসলো যুক্তরাষ্ট্র। জেরুজালেমই দুই পক্ষের মধ্যে সর্বশেষ শান্তি প্রতিষ্ঠার জায়গা ছিলো। দুই পক্ষের মাধ্যমে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন ছিলো। তিনি আরও বলেন, ‘এই সংকটময় মুহূর্তে আমি বলতে চাই দুই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কোনও বিকল্প নেই।’

ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক ফ্রেডরিখা মোঘেরিনিও ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের  সমালোচনা করেছেন। এই পদক্ষেপ শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে বলে উদ্বেগ জানান তিনি।  এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, জেরুজালেম দুই রাষ্ট্রের রাজধানী হওয়া উচিত। এবং বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত কোনও দূতাবাস সরানো ঠিক হবে না। তিনি সব আঞ্চলিক নীতিনির্ধারকদের এই বিষয়ে শান্ত থাকার আহ্বান জানান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন ট্রাম্পের ঘোষণার আগেই জানিয়েছে তারা জেরুজালেমে দূতাবাস স্থানান্তর করবে না। ইসরায়েলে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের দূত ইমানুয়েল গিয়াউফ্রেট বলেন, এ ব্যাপারে জাতিসংঘের একটি প্রস্তাব রয়েছে। জেরুজালেমের বিষয়ে অবশ্যই ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে আলোচনা হতে হবে। এই আলোচনার আগেই এ ব্যাপারে নতুন অবস্থান নেওয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের জন্য ভালো কিছু নয়।’