এমন পরিস্থিতিতে আমি চুপ থাকতে পারি না: পোপ ফ্রান্সিস

জেরুজালেমকে মুসলিম-খ্রিস্টান ও ইহুদীদের পবিত্র ভূমি উল্লেখ করে পোপ ফ্রান্সিস বলেছেন, সেখানকার সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে তিনি চুপ থাকতে পারেন না। মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। বুধবার হোয়াইট হাউজের কূটনৈতিক অভ্যর্থনা কক্ষে দেওয়া ভাষণে জেরুজালেমকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একইসঙ্গে তিনি তেল আবিব থেকে মার্কিন দূতাবাসকে জেরুজালেমে স্থানান্তরের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন। এতে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে জেরুজালেম।   


noname

বুধবারের ভাষণে ট্রাম্প বলেন, ‘জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার এখনই সময়।’ ট্রাম্প বলেন, ‘জেরুজালেম কেবল তিনটি মহান ধর্মের পীঠস্থানই নয়; বর্তমানে এটি (জেরুজালেম) বিশ্বের সবচেয়ে সফল গণতান্ত্রিক দেশগুলোরও পীঠস্থান।’ তিনি বলেন, ‘গত সাত দশকে ইসরায়েলি জনগণ এমন এক দেশ গড়ে তুলেছে যেখানে ইহুদি, মুসলিম খ্রিস্টানসহ নানা ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ স্বাধীনভাবে বাস করে আসছে এবং তাদের নিজ নিজ ধর্মীয় রীতি অনুযায়ী উপাসনা করে আসছে।’পোপ বলেন, জেরুজালেম এক অনন্য শহর। মুসলিম, খ্রিষ্টান ও ইহুদীদের জন্য পবিত্র। শহরটি শান্তির বিশেষ বার্তা বহন করে। ‘আমি ইশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি যেন এই পবিত্রস্থান, মধ্যপ্রাচ্যসহ সারাবিশ্বে তার অনুগ্রহ বর্ষিত হয়। স্রষ্টা তাদের সবাইকে জ্ঞান দিক যেন যে কোনও সহিংসতা এড়াতে পারে তারা।' কঠোর গলায় বলেন তিনি। 

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী ঘোষণার সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করার হুমকি দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ফিলিস্তিনি নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত মানবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। ক্যাথলিক ধর্মগুরু ফ্রান্সিস বলেছেন, ‘এমন অবস্থায় আমি চুপ থাকতে পারি না। জেরুজালেম অত্যন্ত পবিত্র শহর। আমি উদ্বিগ্ন। আমি সবাইকে সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ইস্যুতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতিসংঘের আইন মেনে চলার আহ্বান জানাই।’ ট্রাম্পর ঘোষণা কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ঘনিষ্ঠ মার্কিন মিত্রসহ নিরাপত্তা পরিষদের আটটি দেশ জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছে। এই সপ্তাহেই সেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।