উল্কাবৃষ্টির ইন্দ্রজাল

উল্কা বৃষ্টি প্রত্যক্ষ করলেন বিশ্বের নানা দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষ। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোতে অনেকের কাছে এটি যুক্ত করেছে বাড়তি উন্মাদনা। বুধবার রাতের এই উল্কাবৃষ্টির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে উচ্ছ্বাস জানিয়েছেন অনেকে। কেউ আবার এটি দেখার সুযোগ না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। উল্কাবৃষ্টির মহাজাগতিক ইন্দ্রজাল ঘিরে মানুষের এমন আগ্রহের খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম স্কাই নিউজ।

উল্কাবৃষ্টিএই উল্কাবৃষ্টি নিয়ে অন্যদের তুলনায় বাড়তি আগ্রহ ছিল নক্ষত্রবিজ্ঞানী বা জ্যোতিষীদের। ১৪ ডিসেম্বর নিজেদের ভেরিফায়েড টুইটার অ্যাকাউন্টে উল্কাবৃষ্টির ছবি পোস্ট করেছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।

চমৎকার, তারকার পিছু, শ্বাসরুদ্ধকর, উত্তেজনাপূর্ণ, ঐন্দ্রজালিক রাত- এমন ভাষা ব্যবহার করে উল্কাবৃষ্টি দেখার অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন অনেকে। কেউবা এর সাক্ষী হতে পারাকে জীবনের সেরা মুহূর্তগুলোর একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

একজন লিখেছেন, রাত ২টায় উঠে জানালা খুলে এ ঘটনা প্রত্যক্ষ করি। তবে নিদ্রাহীনতার সমস্যা থাকায় বিষয়টি উপভোগ করতে পারিনি।

জ্যাকুলিন মোরালেস নামের এক ব্যক্তি টুইটারে লিখেছেন, উল্কাবৃষ্টি দেখে রাত পার হলো। এটা খুবই চমকপ্রদ।

উল্কাবৃষ্টি দেখে যে কারও মনে হতে পারে, আকাশের মিটমিটে তারাগুলো থেকে একটি হয়তো টুপ করে মাটিতে পড়ে গেল। কিন্তু এই ‘খসে পড়া তারা’গুলো আদতে তারা নয়। এদের নাম উল্কা।

এই উল্কা হচ্ছে মহাকাশে ভেসে বেড়ানো নানা মাপের পাথরখণ্ড। ঘুরে বেড়াতে বেড়াতে পৃথিবীর অভিকর্ষের আওতায় এলে এরা ভূপৃষ্ঠের দিকে পতিত হয়। বায়ুমণ্ডলের সঙ্গে সংঘর্ষ হতেই জ্বলে ওঠে উল্কাপিণ্ড। আর তখনই দেখা মেলে এর। আকাশ পরিষ্কার থাকলে খালি চোখেই দেখা মিলে মহাজাগতিক এই আলোর খেলা। তবে বেশিরভাগ সময় ভূপৃষ্ঠে আসার আগেই উল্কাগুলো পুড়ে যায়।