বিচ্ছেদ পরবর্তী ধাপে ব্রেক্সিট আলোচনা

২৭ জাতির আঞ্চলিক জোট ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে যুক্তরাজ্যের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত আলোচনা বিচ্ছেদ পরবর্তী ধাপে পৌঁছেছে। শুক্রবার বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত ইইউ সম্মেলনের শেষ দিনে ব্রেক্সিট নিয়ে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে করা স্মারকের অনুমোদন দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিচ্ছেদ-পরবর্তী সম্পর্কের রূপরেখা নির্ধারণে আলোচনা শুরুরও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে বিশেষ করে দুই পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

২০১৯ সালের ২৯ মার্চ রাত ১১টায় যুক্তরাজ্যের আনুষ্ঠানিকভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের কথা রয়েছে। এরপর দুই পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক কেমন হবে মূলত তা নির্ধারণে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

যুক্তরাজ্য ইউরোপের এই আঞ্চলিক জোট ত্যাগের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সব ক্ষেত্রেই দুই পক্ষের মধ্যে নতুন চুক্তির প্রয়োজন হবে। শুক্রবার ব্রাসেলস সম্মেলনে এ সংক্রান্ত আলোচনা পরবর্তী ধাপে এগিয়ে নেওয়ার অনুমোদন দিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারা। এ পদক্ষেপকে ব্রেক্সিট কার্যকরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।

উভয় পক্ষের নতুন সম্পর্ক নির্ধারণে আগামী সপ্তাহ থেকে আবারও আলোচনার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে দুই বছরের অন্তর্বর্তীকালীন সময়ের সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করবেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্যের প্রতিনিধিরা।

শুক্রবার টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে ইউরোপিয়ান কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক বলেছেন, ব্রাসেলসে ব্রেক্সিট সংক্রান্ত দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ নেতা সন্তুষ্ট। এখন তারা বাণিজ্যিক বিষয়ে অগ্রসর হতে পারে। তার ওই টুইটকে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর জন্য স্বস্তিদায়ক হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ডোনাল্ড টাস্ক-এর টুইটের প্রতিক্রিয়ায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, গত বছরের জুনে যুক্তরাজ্যের মানুষ ব্রেক্সিটের পক্ষে তাদের রায় দিয়েছেন। ভালোভাবে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

ব্রাসেলস সম্মেলনের আগে অবশ্য ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভোটাভুটিতে থেরেসা মে-এর দল কনজারভেটিভ পার্টির পরাজয় হয়েছে। দলটির ১১ এমপির বিদ্রোহের মুখে সরকারি দল এতে পরাজিত হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের গণভোটে ২৮ জাতির ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পক্ষে রায় দেন ব্রিটিশ নাগরিকরা। এক্ষেত্রে অভিবাসন ইস্যুকে প্রচারণার বড় হাতিয়ার করে ব্রেক্সিটপন্থীরা।