ধনকুবের দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্তে কানাডীয় পুলিশ

কানাডার টরন্টোর নিজ বাড়িতে এক ধনকুবের দম্পতির রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাড়ির বেজমেন্ট থেকে নিহত ব্যারি শারম্যান ও তার স্ত্রী হানি শারম্যানের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। শনিবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।

Canadian Policeনিহত ব্যারি শারম্যান ছিলেন কানাডিয়ান ফার্মাসিউটিক্যাল ফার্ম এপোটেক্স-এর একজন স্থপতি। তিনি দেশটির শীর্ষস্থানীয় ধনীদের মধ্যে একজন।

কনস্টেবল ডেভিড হপকিন্স জানান, শুক্রবার একজন এজেন্ট কর্মকর্তা শারম্যানের বাসার দরজাটি খোলা অবস্থা দেখতে পান। পরে তিনি বাড়ির বেজমেন্ট থেকে ওই দম্পতির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। বিকেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে।

ডেভিড হপকিন্স জানান, ওই দম্পতির মৃত্যুর বিষয়টি বেশ সন্দেহজনক। তবে কারও জোরপূর্বক ঘরে প্রবেশের কোনও আলামত পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশ সামনে এগোচ্ছে।

ওই দম্পতির মৃত্যুতে কানাডার রাজনীতিক থেকে ব্যবসায়ীসহ অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন।

টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো লিখেছেন, নিহতদের পরিবার পরিজনসহ সবার প্রতি আমাদের সমবেদনা।

টরেন্টোর মেয়র জন টরি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘তাদের মৃত্যুর খবরে আমি খুবই মর্মাহত। শহরের উন্নয়নে তারা সবসময় সোচ্চার ছিলেন।’

তিনি বলেন, টরেন্টো পুলিশ তদন্ত করছে। আশা করি, তদন্তে সব প্রশ্নের উত্তর বের হয়ে আসবে।

৭৫ বছর বয়সী শারম্যান ১৯৭৪ সালে ব্যক্তিগত মালিকানায় ‘এপোট্যাক্স’ নামে জেনেরিক ড্রাগ ব্যবসা শুরু করেন। বর্তমানে বিশ্বের নামকরা জেনেরিক ড্রাগমেকারের মধ্যে এপোটেক্স সপ্তম। এটি বিশ্বের ৪৫টি দেশে পণ্য সরবরাহ করে। এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১১ হাজার কর্মী কাজ করেন এবং এর বার্ষিক আয় প্রায় ২ বিলিয়ন কানাডিয়ান ডলার।

কানাডিয়ান সংবাদমাধ্যম সিবিসি’র খবরে বলা হয়েছে, নিহত দম্পতি  মানবসেবার জন্য বেশ পরিচিত ছিলেন। সম্প্রতি তারা হাসপাতাল, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন সংস্থায় প্রায় ১০ লাখ কানাডিয়ান ডলার দান করেন।