জায়নবাদবিরোধী ১০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করবেন তিউনেশিয়ার আন্দোলনকারীরা

‘জায়নবাদ নির্মম’ এই ধারণা প্রচার করে ১০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ অভিযানে নেমেছে তিউনেশিয়ার একটি দল। ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করাকে অবৈধ ঘোষণার লক্ষ্যে এ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্প জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানীর স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ স্বাক্ষর অভিযান চলছে। যুক্তরাজ্যের আল আরাবি আল জাদিদ পত্রিকার বরাত দিয়ে মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট মনিটর এ খবর জানিয়েছে।

তিউনেশিয়ায় বিক্ষোভ

কর্মসূচির মুখপাত্র হাফিজ আল সাওয়ারি বলেন, ‘স্বাভাবিকীকরণের বিপক্ষে তিউনেশিয়ানরা’ শিরোনামের প্রচারণায় রাজনৈতিক দল, সংগঠন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সবাই অন্তর্ভূক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে তিউনেশিয়ার মানুষ একজোট হওয়ার একটি ঐতিহাসিক সুযোগ পাবে। ‘জায়নবাদ নির্মম’ এই অবস্থান থেকে সবাই এই উদ্যোগকে সমর্থন করবে। তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের স্বাধীনতার জন্য ১৯৪৮ সাল থেকে অনেক তিউনেশিয়ান শহীদ হয়েছেন।

আল সাওয়ারি আরও উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত এ কর্মসূচিকে আরও জোরদার করবে। এতে সামান্য হলেও ফিলিস্তিনি ও তাদের মুক্তির সংগ্রামকে সমর্থন করা হবে। তিউনেশিয়ানরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে বিপক্ষে আর ফিলিস্তিনিদের মুক্তি সংগ্রামের পক্ষে। দেশব্যাপী প্রতিবাদের পাশাপাশি আমাদের আন্দোলন সবাইকে এই বার্তাই দেবে।

হাফিজ আল সাওয়ারি বলেন, অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই প্রায় ১৩ হাজার স্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। ১০ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহের মাধ্যমে তিউনেশিয়ার সবচেয়ে বড় আন্দোলনে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য। এরপর আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ককে অবৈধ ঘোষণার জন্য আইন প্রণয়ণের জন্য মানুষের সামনে প্রস্তাব উপস্থাপন করবো।

যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যপ্রাচ্য নীতির বাইরে গিয়ে গত ৬ ডিসেম্বর জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর থেকেই বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। আর ফিলিস্তিনে শুরু হয়েছে তীব্র বিক্ষোভ। ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর, পূর্ব জেরুজালেম ও গাজা উপত্যকায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ হচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনীর। এরপরও প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার প্রতিবাদে ফিলিস্তিনিরা ইন্তিফাদার অন্যতম হাতিয়ার পাথর আর গুলতি নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছে। একই সঙ্গে আরব দেশগুলোর পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী এর প্রতিবাদে আন্দোলন শুরু হয়েছে। এমনকি খোদ যুক্তরাষ্ট্রের মানুষও এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ রাস্তায় নেমে এসেছে।