‘জেরুজালেম মুসলমানদের কাছে মক্কা-মদিনার মতো পবিত্র’

জেরুজালেমের আল আকসা মসজিদ মুসলমানদের কাছে মসজিদুল হারাম এবং মসজিদে নববীর মতোই পবিত্র স্থান। এমন মন্তব্য করেছেন মিসরের খ্যাতনামা আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যান্ড মুফতি আহমেদ আল তাইয়্যেব। শনিবার কায়রোতে এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘জেরুজালেম শহরের একটি পাথরের টুকরার মালিকানাও ইহুদিদের নেই। সেখানকার ইট-কাঠ-পাথর সব মুসলমানদের সম্পদ। কাজেই তারা জেরুজালেমে তাদের মন্দির থাকার যে দাবি করে ভিত্তিহীন।’

আহমেদ আল তাইয়্যেবনিজের বক্তব্যের সমর্থনে কোরআন-হাদিস থেকে উদ্ধৃতি তুলে ধরেন আল আজহারের এই গ্র্যান্ড মুফতি।

আহমেদ আল তাইয়্যেব বলেন, ইসলামের আবির্ভাবের আগেও জেরুজালেম শহরে আরবরা বসবাস করত। ওল্ড টেস্টামেন্টকে (তাওরাত) উদ্ধৃত করে ইহুদিরা আল আকসা মসজিদকে তাদের সম্পদ বলে যে দাবি করে তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন।

এদিকে জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বীকৃতির প্রতিবাদে ইন্তিফাদা বা সর্বাত্মক প্রতিরোধ পালন করছেন ফিলিস্তিনিরা। আজ ১৭ ডিসেম্বর এই ইন্তিফাদার দশম দিন চলছে। ৬ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে ট্রাম্পের ওই ঘোষণার পর দুনিয়াজুড়ে নিন্দার ঝড় উঠে। ৮ ডিসেম্বর থেকে তৃতীয় ইন্তিফাদার ডাক দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। ইন্তিফাদার প্রথম নয় দিনে ইসরায়েলি বাহিনীর গুলিতে নয় ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এমনকি দুই পা হারানো পঙ্গু ফিলিস্তিনিও রক্ষা পাননি ইসরায়েলি স্নাইপারের গুলি থেকে।

ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত ঘোষণার পরপরই জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরের রামাল্লা, হেবরন, বেথলেহেম, নাবলুস, কালকিলিয়া, তুলকার্ম ও জেনিনের রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হন বহু বিক্ষোভকারী। তারপরও দমে যাননি মুক্তিকামী মানুষেরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তারা। ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরায়েলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে স্লোগান তুলছেন, ফিলিস্তিনিদের রাজধানী নির্ধারণের অধিকার আমেরিকাকে কেউ দেয়নি। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল নামে কোনও দেশ নেই। তাই এর কোনও রাজধানীও থাকতে পারে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের বিপরীতে তাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী। সূত্র: পার্স টুডে, আনাদোলু এজেন্সি।