পূর্ব জেরুজালেমে তুর্কি দূতাবাস খুলতে চান এরদোয়ান

পূর্ব জেরুজালেমে তুর্কি দূতাবাস খুলতে চান বলে জানিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

_99244759__98703413_crop_erdogan_turk

প্রতিবেদনে বলা হয়, এটা নিশ্চিত নয় যে তারা কিভাবে দূতাবাস সরিয়ে নেবেন। এই শহরটি এখনও ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এরদোয়ান বলেছেন, তিনি পূর্ব জেরুসালেমে একটি তুর্কি দূতাবাস খুলতে চান। তিনি বলেন, ‘ইশ্বর চাইলে আমরা খুব দ্রতই সেখানে দূতাবাস খুলবো।’ জেরুসালেমে ইতিমধ্যেই তুরস্কের একটি কনস্যুলেট রয়েছে বলেও মনে করিয়ে দেন তিনি।

৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রয়েছে।

ট্রাম্পের ওই বিতর্কিত ঘোষণার পরপরই জেরুজালেম, গাজা উপত্যকা, পশ্চিম তীরের রামাল্লা, হেবরন, বেথলেহেম, নাবলুস, কালকিলিয়া, তুলকার্ম ও জেনিনের রাস্তায় নেমে আসেন মুক্তিকামী ফিলিস্তিনিরা। বিক্ষোভকারীদের ওপর হামলে পড়ে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হন বহু বিক্ষোভকারী। তারপরও দমে যাননি মুক্তিকামী মানুষেরা। প্রতিবাদ বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তারা। ট্রাম্প আর নেতানিয়াহু’র ছবি পুড়িয়ে, আমেরিকা-ইসরায়েলের পতাকা জ্বালিয়ে দিয়ে স্লোগান তুলছেন, ফিলিস্তিনিদের রাজধানী নির্ধারণের অধিকার আমেরিকাকে কেউ দেয়নি। আর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া বলেছেন, ইসরায়েল নামে কোনও দেশ নেই। তাই এর কোনও রাজধানীও থাকতে পারে না। ফিলিস্তিনিদের প্রতিরোধ সংগ্রামের বিপরীতে তাদের ওপর হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

এরপর ওআইসির জরুরি বৈঠক ডাকেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদেয়ান। সেখানে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনি রাজধানী স্বীকৃতি দেন ৫১টি মুসলিম দেশ।