ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যানে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি আজ

জেরুজালেম প্রশ্নে ট্রাম্পের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করতে খসড়া প্রস্তাব পাসের জন্য সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হতে যাচ্ছে। ফাঁস হয়ে যাওয়া খসড়া প্রস্তাবটি দেখার দাবি করে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা খবরটি জানিয়েছে। এর আগে শনিবার ব্রিটিশ বার্তা রয়টার্সও মিসরের তৈরি খসড়া প্রস্তাবটি পাসে নিরাপত্তা পরিষদে তৎপরতার খবর জানিয়েছিল। নির্দিষ্ট তারিখ উল্লেখ না করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, সপ্তাহের শুরুর দিকেই এই নিয়ে ভোটাভুটি হতে পারে।

নিরাপত্তা পরিষদ
৬ ডিসেম্বর বুধবার জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের স্বীকৃতির সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে সরিয়ে জেরুজালেমে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এই নিয়ে বিশ্বজুড়ে তুমুল নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রয়েছে। ট্রাম্পের ঘোষণার পর এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাসের উদ্যোগ শুরুর ব্যাপারে সম্মত হয় আরব দেশগুলো।

রয়টার্স ও আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, জেরুজালেম প্রশ্নে যেকোনও সিদ্ধান্ত কার্যকরের বৈধতা না দিয়ে এবং তা বাতিল করা অত্যাবশ্যক করে খসড়া প্রস্তাবটি পাস করার কথা ভাবছে নিরাপত্তা পরিষদ। তবে ওই প্রস্তাবে নির্দিষ্ট করে যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ট্রাম্পের নাম উল্লেখ করা হয়নি। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, এমন কোনও সিদ্ধান্ত বা ব্যবস্থা যা জেরুজালেমের বৈশিষ্ট্য ও মর্যাদা বদলে দেবে সেই সিদ্ধান্তগুলোর বৈধ কার্যকারিতা থাকবে না; সেগুলো অকার্যকর বলে বিবেচিত হবে এবং নিরাপত্তা পরিষদের প্রাসঙ্গিক সমাধান প্রস্তাবের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তা অবশ্যই বাতিল করতে হবে। জেরুজালেমে দূতাবাস স্থাপন থেকে বিরত থাকার জন্য সকল দেশের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে প্রস্তাবে।

রয়টার্স জানায়, মিসরের তৈরি করা খসড়া প্রস্তাবটি শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) ১৫ সদস্যবিশিষ্ট নিরাপত্তা পরিষদে পাঠানো হয়েছে। কূটনীতিকরা বলছেন, প্রস্তাবটির পক্ষে বিপুল সমর্থন থাকলেও ওয়াশিংটন এতে ভেটো দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে এই নিয়ে নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হতে পারে বলেও জানিয়েছেন কূটনীতিকরা। প্রস্তাবটি পাস করতে হলে ১৫ সদস্য দেশের মধ্যে অন্তত ৯টির সমর্থন লাগবে এবং ভেটো ক্ষমতাসম্পন্ন ৫টি দেশের কোনওটিরই আপত্তি থাকা যাবে না।

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রস্তাবটি পাস হওয়ার সম্ভাবনা না থাকলেও এটি জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পকে আরও বিচ্ছিন্ন করে দেবে বলে মনে করা হচ্ছে।

খসড়া প্রস্তাবটির ব্যাপারে জাতিসংঘে নিয়োজিত যুক্তরাষ্ট্রের মিশনের কাছ থেকে জানতে চেয়ে সাড়া পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করেছে রয়টার্স।