অর্ধ সহস্রাধিক বাস রফতানির চুক্তি কাতারের

উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানে অর্ধ সহস্রাধিক বাস রফতানি করবে কাতার। দুই দেশের মধ্যকার একটি বাণিজ্য চুক্তির আওতায় দেশটিতে এসব বাস সরবরাহ করা হবে। কাতারি পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, চুক্তির আওতায় সুদানকে ৫০৫টি বাস সরবরাহ করবে দোহা। বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম পর্যবেক্ষণকারী লন্ডনভিত্তিক সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর।

nonameকাতারের পরিবহন ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কাতারি পরিবহন ও যোগাযোগমন্ত্রী জসিম বিন সাইফ আল সুলাইতি সুদানের অবকাঠামো ও পরিবহন বিষয়ক মন্ত্রী খালিদ মোহাম্মদ খায়ের-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন। এ সময় তারা সুদানে কাতারি বাস রফতানির ব্যাপারে একমত হন। সে অনুযায়ী কাতারি পরিবহন সংস্থা মোউসালাত কাতার খার্তুমকে ৫০৫টি বাস সরবরাহ করবে।

উল্লেখ্য, সৌদি জোটের কাতারবিরোধী অবরোধের ঘটনায় দেশটির অর্থনীতি ভেঙে পড়ার আশঙ্কা থাকলেও বাস্তবে এমন কিছু হয়নি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের শীর্ষ তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রফতানিকারক দেশ কাতার। দেশটিতে জনপ্রতি মাথাপিছু আয় ১ লাখ ২৭ হাজার ৬৬০ মার্কিন ডলার। যা দেশটিকে বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশে পরিণত করেছে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)-র মতে, দেশটির ক্রয়ক্ষমতা বিশ্বের যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি। যে কোনও ধরনের নিষেধাজ্ঞা মোকাবিলায় অর্থ জোগান দেওয়ার সামর্থ্য আছে কাতারের।

সৌদি জোটের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর দেশটি নতুন নৌপথের ব্যবস্থা করেছে। যা সৌদি আরবের সীমান্তের কাছ দিয়ে গেছে। কয়েক হাজার কোটি ডলার রাষ্ট্রীয় অর্থ স্থানীয় ব্যাংকগুলোকে দেওয়া হয়েছে যাতে করে লেনদেন অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়। পশ্চিমা বড় বড় জ্বালানি কোম্পানিগুলোর মনোযোগ কেড়েছে ৩০ শতাংশ এলএনজি উৎপাদনের ঘোষণা দিয়ে। কাতারের এসব পদক্ষেপের সাফল্য দেখিয়ে দিয়েছে কয়েক মাস কিংবা বছর যদি এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকে তাতেও দেশটি বড় ধরনের কোনও সমস্যায় পড়বে না। এমনকি নতুন করেও যদি অবরোধ আরোপ করা হয়।

লন্ডনভিত্তিক ক্যাপিটাল ইকনোমিক এর মধ্যপ্রাচ্য অর্থনীতিবিদ জেসন টাবেই বলেন, কাতারের অর্থনীতি ভেঙে পড়ার কোনও আশঙ্কা দেখছি না। এমনকি যদি এই অবরোধ পরের বছরও অব্যাহত থাকে।

এদিকে এ সপ্তাহেই কাতারের সঙ্গে থাকা সৌদি আরবের একমাত্র স্থলবন্দরটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে রিয়াদ। সৌদি কাস্টমস জানিয়েছে, সোমবার রাত থেকেই কাতারসংলগ্ন সালওয়া সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসর। সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, রয়টার্স।