উত্তর সাগরে রুশ তৎপরতা পর্যবেক্ষণে ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজ

উত্তর সাগরে যুক্তরাজ্যের সমুদ্রসীমার কাছে একটি রুশ যুদ্ধ জাহাজের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছে একটি ব্রিটিশ ফ্রিগেট। ব্রিটিশ রয়েল নেভি জানিয়েছে, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিনে যুক্তরাজ্যের জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট সমুদ্র এলাকায় রুশ যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি টের পেয়ে এইচএমএস সেন্ট আলবানস নামের ফ্রিগেটটি পাঠানো হয়। তবে এই ব্যাপারে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।

যুদ্ধজাহাজ
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া ইন্টারনেট ক্যাবলের জন্য রাশিয়া হুমকিজনক হয়ে উঠতে পারে বলে সম্প্রতি সতর্ক করে ব্রিটেন। চলতি মাসের শুরুতে এয়ার চিফ মার্শাল স্টুয়ার্ট পিচ বলেছিলেন, যোগাযোগ সংক্রান্ত সংযোগ লাইনগুলোর সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে ব্রিটেন ও ন্যাটোর কাজ করা উচিত। এসব সংযোগ লাইন বিচ্ছিন্ন হলে কিংবা ব্যাহত হলে অর্থনীতির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হবে। সাগরের তলদেশ দিয়ে যাওয়া এই ক্যাবলগুলো বিভিন্ন দেশ ও মহাদেশের মধ্যে ইন্টারনেটে যোগাযোগের সংযোগ তৈরি করেছে। আর যুক্তরাজ্যের আশঙ্কা রাশিয়া এই সংযোগ ব্যাহত করতে পারে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার নিজস্ব সমুদ্র এলাকায় রাশিয়ার যুদ্ধজাহাজের উপস্থিতি টের পেয়ে এর তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করে ব্রিটিশ জাহাজ।

রয়েল নেভির এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এইচএমএস সেন্ট আলবানস ফ্রিগেটটিকে ২৩ ডিসেম্বর রওনা করতে বলা হয় এবং যুক্তরাজ্যের পানিসীমার কাছে পৌঁছে যাওয়া রুশ যুদ্ধ জাহাজ এডমিরাল গোরশকভকে পর্যবেক্ষণের নির্দেশ দেওয়া হয়।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ব্রিটিশ ফ্রিগেটটি বড়দিনে সাগরে ছিল এবং রুশ জাহাজের তৎপরতা পর্যবেক্ষণ করেছে। বক্সিং ডেতে এটি পোর্টসমাউথে ফিরে আসবে বলেও উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল ক্রিমিয়াকে রুশ ফেডারেশনের অন্তর্ভূক্ত করার পর থেকে ব্রিটেন ও রাশিয়ার সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে।