ইন্টারপোলের রেড নোটিশ, নির্বিঘ্নে চলাফেরা করছেন মঈনুদ্দীন!

১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটনের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক আলবদর কমান্ডার চৌধুরী মইনুদ্দিন বর্তমানে উত্তর লন্ডনে বসবাস করছেন বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সান। পত্রিকাটির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইন্টারপোলের ২৫ জন মোস্ট ওয়ান্টেড ব্রিটিশ মুসলিম নেতার তালিকায় রয়েছে তার নাম। তাকে ইন্টারপোল খুঁজে না পেলেও দ্য সান খুব সহজেই শনাক্ত করতে পেরেছে। ৬৯ বছর বয়সী চৌধুরী মইনুদ্দিনের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করে পত্রিকাটি বলছে, তিনি যে বাড়িটিতে বসবাস করছেন, তার মূল্য প্রায় ১০ লাখ পাউন্ড।




গাড়িতে উঠছেন মঈনুদ্দিন
১৯৭১ সালে আলবদর বাহিনীর নেতৃত্ব দেওয়া এবং তার নেতৃত্বে ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে হত্যার অভিযোগে ২০১৩ সালে চৌধুরী মঈনুদ্দীনের অনুপস্থিতিতেই তার বিচার হয়। বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেন। তবে ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিসের (এনএইচএস) সাবেক পরিচালক মঈনুদ্দিন ওই রায়কে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ বলে দাবি করেন। তার আইনজীবীও এই রায়কে ‘শো ট্রায়াল’ বলে উল্লেখ করেন।



একটি সুপার মার্কেট থেকে বাজার করেছেন মঈনুদ্দিন
পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা ইন্টারপোলের 'মোস্ট ওয়ান্টেড ব্রিটিশ ফিউজিটিভ'-এর তালিকায় রয়েছেন মঈনুদ্দীন। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধেই মঈনুদ্দীনের বিরুদ্ধে রেড নোটিশ জারি করে ইন্টারপোল। আন্তর্জাতিক এই সংস্থাটির মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় নাম থাকা ২৫ জনের প্রত্যেকেই ‘পলাতক’ রয়েছেন। তবে ২৬ ডিসেম্বর দ্য সানের প্রতিবেদনে বলা হয়, মঈনুদ্দীন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন লন্ডনে। তিনি শপিং করেন, মসজিদেও যান। তার স্বাভাবিক চলাফেরার কিছু মুহূর্তকে ক্যামেরাবন্দিও করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা। এ বিষয়ে মঈনুদ্দীনের এক প্রতিবেশী বলেন, ‘হয়তো ইন্টারপোল খুব ভালোভাবে তাকে খুঁজছে না।’

দ্য সান জানায়, মঈনুদ্দিন তার বাড়িতে বসেই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগকে ‘বাজে কথা’ অভিহিত করে অস্বীকার করেছেন। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরপরই মঈনুদ্দীন ব্রিটেনে পালিয়ে যান। ব্রিটিশ নাগরিকত্বও পান তিনি। ৫৭ বছর বয়সী স্ত্রী ফরিদা ও চার সন্তান নিয়ে উত্তর লন্ডনে বসবাস করছেন তিনি। তাকে গ্রেফতারে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তাও চেয়েছে বাংলাদেশ।