জেরুজালেম ইস্যু মুসলিম উম্মাহ’র জন্য পরীক্ষা: এরদোয়ান

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান বলেছেন, জেরুজালেম ইস্যু মুসলিম উম্মাহ’র জন্য একটি নতুন পরীক্ষা। একইসঙ্গে এটি তুর্কি জাতি, এই অঞ্চল এবং দুনিয়ার নিপীড়িত জনগোষ্ঠীগুলোর জন্যও পরীক্ষা। রবিবার ইংরেজি নতুন বছর উপলক্ষ্যে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট।

রজব তাইয়্যেব এরদোয়ানতিনি বলেন, জেরুজালেম ইস্যুতে তুরস্কের মানুষের দৃঢ় অবস্থান প্রশংসার দাবিদার। এমন অবস্থানের জন্য আমার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

এর আগে এক ফোনালাপে জেরুজালেম ইস্যুতে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করায় ক্যাথলিক ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসকে ধন্যবাদ জানান এরদোয়ান।

জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে ট্রাম্পের ওই স্বীকৃতির ঘটনায় প্রথম থেকেই সোচ্চার তুরস্ক। এরদোয়ানের ভাষায়, বিশ্বনেতাদের উচিত জাতিসংঘে এ ইস্যুতে ট্রাম্পকে উচিৎ শিক্ষা দেওয়া।

এ ইস্যুতে ওআইসি’র জরুরি সম্মেলন আহ্বান করে আঙ্কারা। ওই সম্মেলন থেকে ট্রাম্পের ঘোষণা প্রত্যাখ্যান করে পূর্ব জেরুজালেমকে ফিলিস্তিনের রাজধানী ঘোষণা করা হয়।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে এ সংক্রান্ত ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জাতিসংঘে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা অংশ নিলেও তুরস্ক সেখানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে পাঠায়। ভোটাভুটির আগে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু বলেছেন, আজকে আমরা তিনটি বিশ্বাসের মানুষদের শহর জেরুজালেম নিয়ে কথা বলতে এখানে হাজির হয়েছি। জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলো তাদের ভোট ও মর্যাদা বিকিয়ে দেবে; এমনটা চিন্তা করা অনৈতিক।

মেভলুত কাভুসোগলু বলেন, জাতিসংঘের একটি সদস্য দেশ (যুক্তরাষ্ট্র) সংস্থাটির অন্য সব সদস্যকে শাসিয়েছে। কিন্তু শক্তিশালী পক্ষ হলেই কারও অবস্থান সঠিক হয়ে যায় না। আমাদের বলা হয়েছে, হয় প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিতে অন্যথায় এর পরিণতি ভোগ করতে। কিন্তু তুরস্ক কখনও আল কুদসের (জেরুজালেমের আরবি নাম) বিষয়টি ছেড়ে দেবে না। ফিলিস্তিনিদের কখনও একা ছেড়ে দেওয়া হবে না। দুনিয়া পাঁচ পরাশক্তির (নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য) চাইতেও বড়। সূত্র: আনাদোলু এজেন্সি।