ব্লু মুনের দেখা মিলবে চলতি মাসেই

নতুন বছরের প্রথম রাতে যারা সুপারমুন দেখছেন, সেই চন্দ্রপ্রেমীদের জন্য অপেক্ষা করছে আরও একটি সুখবর। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, আগামী ৩১ জানুয়ারি রাতে দেখা মিলবে ব্লু মুনের। নাসার তথ্যমতে, ব্লু মুন বলা হলেও এই চাঁদ দেখতে অন্যান্য পূর্ণিমার চাঁদের মতোই। সাধারণত আমরা প্রতি মাসে একটি পূর্ণিমা দেখতে পাই, কিন্তু কখনো কখনো একই মাসে দু’টি পূর্ণিমা ঘটে থাকে। মাসের এই দ্বিতীয় পূর্ণিমাটিই হচ্ছে ব্লু মুন। চান্দ্র মাস ২৯ দশমিক ৫ দিনে সম্পন্ন হয়। ফলে ফেব্রুয়ারি মাস ছাড়া অন্য যে কোনো মাসেই দু’টি পূর্ণিমা ঘটতে পারে। কারণ ফেব্রুয়ারি মাসের দৈর্ঘ্য চান্দ্রমাসের চেয়ে কম।
noname

সাধারণত সৌর বর্ষপঞ্জিতে ১২টি পূর্ণ চন্দ্র মাস হয়ে থাকে। তবে সৌর মাসের তুলনায় চন্দ্র মাসের দৈর্ঘ্য কম। চান্দ্রমাস ২৯.৫ দিনে সম্পন্ন হয়। সাধারণ হিসেবে বলা যায়, চন্দ্র বছর সৌর বছরের তুলনায় গড়ে এগারো দিন কম হয়ে থাকে। এই অতিরিক্ত দিনগুলোর কারণে গড়ে প্রতি ২ দশমিক ৭ বছরে সৌরবর্ষপঞ্জীতে এক মাসে দু’টি পূর্ণিমা ঘটে। একইভাবে প্রতি ১৯ বছরে ৭ বার দেখা পাওয়া যায় ব্লুমুনের। 

এ বছর জানুয়ারি ও মার্চ মাসে দুই বার করে পূর্ণিমা দেখা যাবে। তাই এক ব্যতিক্রমী বাস্তবতায় দুই মাসেই ব্লু মুনের দেখা মিলবে। সাধারণত ১৯ বছর পর পর এমন এক বছরে দুইবার ব্লু ‍মুনের দেখা পাওয়া যায়। এর আগে ১৯৯৯ সালেও জানুয়ারি ও  মার্চ মাসে ব্লু মুনের দেখা পাওয়া গিয়েছিল। এরপর একই বছরে দুই বার ব্লু মুন দেখা যাবে ২০৩৭ সালে।

প্রায় ৪০০ বছর ধরে চলে আসা ‘ব্লু ‍মুন’ ধারণাটির জন্য প্রথমে ভাবা হত তা আসলেই নীল দেখায়। তবে আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞানী জানিয়েছেন ‘ব্লু মুন’প্রকৃতপক্ষে দেখতে মোটেও নীল নয়। তবে আকাশে ধুলোবালি বা ধোঁয়ার কারণে চাঁদকে কখনও কখনও সাময়িকভাবে নীলাভ মনে হতে পারে। এটি সময়ের ধারাবাহিকতায় সংঘটিত হওয়া একটি মহাজাগতিক ঘটনা ছাড়া আর কিছুই নয়। ইংরেজিতে ‘Blue Moon’ দিয়ে বিরল কোন ঘটনাকে বোঝায়। সাধারণত একই বছরে এমন ঘটনা সাধারণত একবারের বেশি দেখা যায় না। তাই ব্লু মুন তার নামে স্বার্থকতা খুঁজে পায়। সূত্র : স্পেস ডটকম।