ইরানে হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান রাশিয়ার

ইরানের ‘অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে’ হস্তক্ষেপ না করতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রুশ উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রিয়াবকভ এ আহ্বান জানিয়েছেন। রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম তাস-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।

nonameসের্গেই রিয়াবকভ বলেন, আমি নিশ্চিত একটি শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের বন্ধু, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বর্তমান জটিলতা কাটিয়ে উঠবে।

এর আগে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের বাস্তবতায় ইরানের শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান। বুধবার ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি আইনশৃঙ্খলা ভঙ্গ না করতে বিক্ষোভকারীদের প্রতি রুহানির আহ্বানকে স্বাগত জানান।

তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু সাংবাদিকদের বলেছেন, ইসরায়েল ও আমেরিকার মদদেই ইরানে বিক্ষোভের ঘটনা ঘটছে। এই অস্থিরতার পেছনে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন। তাদের একজন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। অন্যজন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তুরস্ক সবসময়ই এ ধরনের বহিরাগত হস্তক্ষেপের বিরোধী।

২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ইরানে এই বিক্ষোভ শুরু হয়। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ২৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন সহস্রাধিক মানুষ।

বিক্ষোভের জন্য ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবকে দুষছে ইরান। অবশ্য বিক্ষোভের নেপথ্যে মার্কিন উসকানির অভিযোগ নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন মদদের অভিযোগকে কাণ্ডজ্ঞানহীন আখ্যা দিয়েছে তারা। তবে বুধবার টুইটারে দেওয়া পোস্টে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের বিক্ষোভকারীদের  সময়মতো সমর্থন দেবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কাছ থেকে দেশ ফিরিয়ে নিতে চায় ইরানি জনগণ। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের কাছ থেকে দেশকে ফিরিয়ে নিতে চান তাদের জন্য অনেক সম্মান। সময় হলেই আপনারা যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে সহায়তা পাবেন।’

দমন-পীড়নকারী সরকারকে চিরতরে সহ্য করা যায় না বলেও মন্তব্য করেছেন ট্রাম্প। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘ইরানের সরকার দেশের বাইরে সন্ত্রাসীদের অর্থের যোগান দিতে গিয়ে জাতীয় সম্পদের যে অপচয় করছে তারই প্রতিবাদে দেশটির জনগণ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ করছে। ইরান সরকারের উচিত জনগণের অধিকার ও বিশ্বাসের প্রতি সম্মান দেখানো। বিশ্ববাসী ইরানের ঘটনাবলী গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।’